প্রতীকী ছবি।
কলকাতা বন্দরে জাহাজ ঢোকা-বেরনোর নদী পথে পলি তোলা বা ড্রেজিংয়ের কোনও দীর্ঘমেয়াদী নীতি না থাকার জন্য একই সঙ্গে জাহাজ মন্ত্রক ও কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টকে দুষল সিএজি। সংসদে সদ্য পেশ হওয়া রিপোর্টে সিএজি-র বক্তব্য, কলকাতা বন্দরের ড্রেজিংয়ের কোনও নির্দিষ্ট নীতি নেই। বিশেষজ্ঞদের বারবার সুপারিশ সত্ত্বেও ড্রেজিং করে তোলা পলি নদীর তীরে জমা করার ব্যবস্থা হয়নি। তার বদলে নদীর গভীরতা বাড়ানোর জন্য তোলা পলি আবার নদীতেই কিছু দূরে নিয়ে ফেলা হয়েছে। ফলে ওই পলির অন্তত ১৫ শতাংশ আবার জাহাজ চলাচলের চ্যানেলে এসে জমা হয়েছে। আখেরে ড্রেজিংয়ের খরচ বেড়েছে।
কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টের ড্রেজিংয়ের খরচের একটা বড় অংশই জাহাজ মন্ত্রক দেয়। যদিও এখন তার হার অনেকটাই কমে এসেছে বলে পোর্ট ট্রাস্ট কর্তাদের অভিযোগ। সিএজি-র রিপোর্টও বলছে, ২০১৩-১৪-য় ড্রেজিংয়ের খরচের প্রায় ৩৩ শতাংশ জাহাজ মন্ত্রক দিয়েছিল। ২০১৮-১৯-এ তা ২৩ শতাংশে নেমে এসেছে। নদীর তীরের জমিতে পলি জমা না করে ফের নদীতেই পলি ফেলা নিয়ে পোর্ট ট্রাস্ট সূত্রের ব্যাখ্যা, রাজ্য সরকারের থেকে বারবার এ জন্য সহযোগিতা চেয়েও লাভ হয়নি। হলদিয়া বা তার আশেপাশে পলি জমা করার জমি মেলেনি।
সিএজি-র বক্তব্য, জাহাজ মন্ত্রক দিল্লি থেকে বছর বছর নির্দেশিকা পাঠিয়েই দায় সেরেছে। কলকাতা ও হলদিয়া বন্দরে জাহাজ চলাচলের জন্য গভীরতা বাড়ানোর কোনও দীর্ঘমেয়াদী নীতি তৈরি হয়নি। জাহাজ চলাচলের জন্য হলদিয়া ডকে ৬.৪ মিটার গভীরতা তৈরির লক্ষ্য নিয়ে কাজ শুরু হয়েছিল। কিন্তু তারপরে পলি তোলার দায়িত্বপ্রাপ্ত ড্রেজিং কর্পোরেশনের পক্ষে কতখানি গভীরতা বাড়ানো সম্ভব হবে, সেই অনুযায়ী লক্ষ্য স্থির হয়েছে। ৬.৪ মিটার গভীরতা তৈরির দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্য স্থির হয়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy