— প্রতীকী ছবি।
রাস্তার কুকুরদের তাণ্ডবের জেরে কেরলের কোঝিকোড়ে বন্ধ স্কুল, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র। জেলার কুথালি পঞ্চায়েত এলাকায় ইদানীং রাস্তার কুকুরদের স্কুলপড়ুয়া, মহিলা এবং বয়স্কদের উপর আক্রমণের প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। কুকুরের কামড়ে দু’জনের মৃত্যুও হয়েছে। এর জেরে সোমবার জেলার ছ’টি স্কুল এবং ১৭টি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন।
পথকুকুরের তাণ্ডব চলছে কেরলের কোঝিকোড়ের একাধিক পঞ্চায়েত এলাকায়। পরিস্থিতি এমনই যে রাস্তায় বেরোতে ভয় পাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। কুকুরদের নিশানায় চলে আসছে স্কুলপড়ুয়া, মহিলা এবং বয়স্ক লোকজন। ক’দিন আগেই রাস্তার কুকুরের কামড় খান চার জন। তার মধ্যে দু’জন মহিলা। যে কুকুর তাঁদের কামড়ায় তার মধ্যে জলাতঙ্কের উপসর্গ দেখা গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এর পরেই স্কুল বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
স্থানীয় প্রশাসন কুকুর ধরার অভিযান জারি রেখেছে ঠিকই কিন্তু সবক’টি কুকুরকে ধরা যাচ্ছে না। ফাঁক গলে পালিয়ে যাচ্ছে প্রতি বারই। এই পরিস্থিতিতে সোমবার কুথালির ছ’টি স্কুল এবং ১৭টি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র বন্ধ রাখা হচ্ছে, যাতে স্কুলপড়ুয়ারা কুকুরের হামলার মুখে না পড়ে। কুকুরের তাণ্ডবের প্রভাব পড়েছে মনরেগার কাজেও। তবে জলাতঙ্কের উপসর্গ দেখা দেওয়া একটি কুকুরকে পাকড়াও করা গিয়েছে। কুথালি পঞ্চায়েতের প্রধান বিন্দু কেকে বলেন, ‘‘যে কুকুরটি ধরা হয়েছে তার লালা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হচ্ছে। জলাতঙ্কের উপসর্গ দেখা যাচ্ছে বলে জানতে পেরেছি।’’ আগামী পঞ্চায়েত বৈঠকেও এ বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে বলে জানিয়েছেন বিন্দু।
স্কুল, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র বন্ধ রাখা নিয়ে বিন্দু বলছেন, ‘‘সহকারী শিক্ষা অধিকর্তা এবং শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলার পরেই সোমবার ছোটদের স্কুল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’’
প্রসঙ্গত, পথকুকুরের কামড় খেয়ে এলাকায় এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে। ওই মহিলা কামড় খাওয়ার পর দু’টি ইঞ্জেকশনও নিয়েছিলেন। তবুও তাঁকে বাঁচানো যায়নি। আক্রমণকারী কুকুরটির মধ্যে জলাতঙ্কের উপসর্গ ফুটে উঠেছে বলে জানা গিয়েছে। এর আগে কান্নুরে অটিজ়ম আক্রান্ত এক ১১ বছরের বালককে কুকুরের দল আক্রমণ করে। তাতে বালকের মৃত্যু হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy