গ্রাফিক: তিয়াসা দাস।
জনতা এই দলকে দু’হাত ভরে ভোট দিয়েছে। একাই বিজেপি-কে তিনশো পার করিয়ে দিয়েছে। গত বারের থেকেও এ বারে ঝড়ের বেগ আরও প্রবল। বেগুসরাই থেকে সবথেকে বেশি আলোচিত প্রার্থীও পরাজিত হয়েছেন সেই ঝড়েই।
প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিংহের কাছে পরাজিত হলেন নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সিপিআই প্রার্থী কানহাইয়া কুমার। চার লক্ষেরও বেশি ভোটে হেরে গেলেন জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের এই প্রাক্তন ছাত্র নেতা। ৪,২২,২১৭ ভোটে তাঁকে পরাস্ত করলেন গিরিরাজ সিংহ। নির্বাচনে ২,৬৯,৯৭৬টি ভোট পেয়েছেন কানহাইয়া।
এক সময় ‘বিহারের লেনিনগ্রাদ’ হিসেবে পরিচিত ছিল বেগুসরাই। লোকসভা নির্বাচনে সেই হৃত গৌরব পুনরুদ্ধার হবে বলে আশাবাদী ছিলেন কেন্দ্রের সিপিআই প্রার্থী কানহাইয়া কুমার। জয় সম্পর্কে নিশ্চিত করে বাম প্রার্থীর দাবি ছিল, ওই কেন্দ্রে বিজেপি বিরোধী ভোট ভাগ হবে না। কিন্তু কাজে লাগল না সেই স্ট্র্যাটেজি।
আরও পড়ুন: ‘ইভিএম হাইজ্যাক করেই জয়,’ অভিযোগ ধরাশায়ী মায়াবতীর
মোট ১২.১৭ লক্ষ ভোটদাতার মধ্যে ৬.৯২ লক্ষ ভোট পেলেন গিরিরাজ সিংহ। নওদার পরিবর্তে গিরিরাজকে বেগুসরাইয়ে দাঁড় করিয়েছিল বিজেপি।আরজেডি প্রার্থী তনভির হাসানও ছিলেন কানহাইয়ার বিরুদ্ধে প্রার্থী। তনভীর প্রায় দু’ লক্ষ ভোট পেয়েছেন। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হল, শুধু মাত্র এই কেন্দ্রেই নোটাতে ভোট পড়েছে ২০ হাজারেরও বেশি।
আরও পড়ুন: তিন লাখে মিমি-নুসরত, দু’ লাখে বাবুল, বিপুল ব্যবধানে জয়ী রাজ্যের এই তারকারা
আরজেডি যদিও প্রথমে সিপিআইয়ের জোটসঙ্গী হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, কিন্তু পরে ভূমিহার সম্প্রদায়ের কোনও ব্যক্তিকে দাঁড় করালে যাদব ও মুসলিম ভোটে প্রভাব পড়তে পারে।
জেএনইউয়ের এই প্রাক্তন ছাত্র নেতাকে বছর তিনেক আগে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে কারাবাস করতে হয়েছিল। ওই ঘটনার পর থেকেই বিজেপি তথা নরেন্দ্র মোদীর বিরোধিতায় অন্যতম ‘মুখ’ কানহাইয়া। শাবানা আজমি, জাভেদ আখতার, প্রকাশ রাজ, স্বরা ভাস্করের মতো ব্যক্তিত্বেরা তাঁর হয়ে প্রচার করেছেন।
আরও পড়ুন: ‘ফকিরের ঝোলা আপনারা ভরে দিয়েছেন, এ জয় ভারতের সব নাগরিকের’
সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, কানহাইয়া কুমার পরাজিত হওয়ার পরই সিপিআই এবং বিজেপি সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতির শুরু হয়। বেগুসরাইয়ে সিপিআইয়ের কার্যালয়ের সামনে বাজি ফাটানোকে কেন্দ্র করেই শুরু হয় বচসা। সমর্থকরা পরস্পরকে পাথর ছুড়তে থাকেন, এমন অভিযোগও আসে পুলিশের কাছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অতিরিক্ত পুলিশও মোতায়েন করা হয় এলাকায়।
আরও পড়ুন: নির্বাচন সংক্রান্ত সব খবর
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy