Advertisement
০৮ মে ২০২৪
Mayawati

‘ইভিএম হাইজ্যাক করেই জয়,’ অভিযোগ ধরাশায়ী মায়াবতীর

‘ইভিএম কারচুপি হয়েছে উত্তরপ্রদেশে,’ উত্তরপ্রদেশে মহাজোট ধরাশায়ী হওয়ার পর এমনটাই অভিযোগ আনলেন মায়াবতী।

গ্রাফিক: তিয়াসা দাস।

গ্রাফিক: তিয়াসা দাস।

সংবাদ সংস্থা
লখনউ শেষ আপডেট: ২৪ মে ২০১৯ ০৯:৫৭
Share: Save:

‘ইভিএম কারচুপি হয়েছে উত্তরপ্রদেশে, এ ভাবেই নির্বাচন হাইজ্যাক করেছে বিজেপি’ উত্তরপ্রদেশে মহাজোট ধরাশায়ী হওয়ার পর এমনটাই অভিযোগ আনলেন মায়াবতী

শাসক এনডিএ হোক বা কংগ্রেস বা মায়া-মুলায়ম, উত্তরপ্রদেশের দখল নিতে তৎপরতা দেখিয়েছিলেন সব পক্ষই। কিন্তু পারল শুধু বিজেপি। কার্যত ডাহা ফেল করলে গেল ‘বুয়া-বাবুয়া গটবন্ধন’। কাজ করল না জাতপাতের সমীকরণ। অঙ্কের হিসেবে মহাজোট অগ্রাধিকার পেলেও তা প্রভাব ফেলল না ভোটবাক্সে। উত্তরপ্রদেশের দখল নিতে পারলেই মসৃণ হয় প্রধানমন্ত্রিত্বের পথ, এটাই বলেন অনেক সময় রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু সেখানেই পিছিয়ে পড়েছেন মায়াবতী-অখিলেশরা।

প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড় থেকে ছিটকে গিয়েছেন মায়া। আর তারপরই ঝাঁপিয়ে পড়লেন অভিযোগের ঝুলি নিয়ে। বললেন, ইভিএম কারচুপি করেছে বিজেপি। সে কারণেই এই সংখ্যাগরিষ্ঠতা।

আরও পড়ুন: তিন লাখে মিমি-নুসরত, দু’ লাখে বাবুল, বিপুল ব্যবধানে জয়ী রাজ্যের এই তারকারা

উত্তরপ্রদেশের দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মায়াবতী আর মুলায়মের চিরবৈরিতার আড়াল দূরে রেখে সমাজবাদী পার্টি আর বহুজন সমাজ পার্টিকে এক জায়গায় এনেছিলেন অখিলেশ যাদব।. অজিত সিংহের রাষ্ট্রীয় লোক দলও ছিল জোটে। মহাজোটের লক্ষ্যই ছিল যাদব-দলিত-মুসলিম-জাঠ ভোটব্যাঙ্ককে এককাট্টা করা। কারণ লোকসভায় সবচেয়ে বেশি সাংসদও নির্বাচিত হয়েছেন এই উত্তরপ্রদেশের মাটি থেকেই। কিন্তু চরম ব্যর্থ হল এসপি-বিএসপি-আরএলডি জোট। ৮০টি আসনের এক চতুর্থাংশও না পেয়ে বহেনজি ক্ষিপ্ত হয়ে এক হাত নিলেন নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহ ও বিজেপিকে।

আরও পড়ুন: ‘ফকিরের ঝোলা আপনারা ভরে দিয়েছেন, এ জয় ভারতের সব নাগরিকের’​

ফলপ্রকাশের পর বৃহস্পতিবার রাতে মায়াবতী বললেন, ‘‘ইভিএম কারচুপি করে নির্বাচন হাইজ্যাক করেছে বিজেপি। বিশেষ কোনও প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ভোট গিয়েছে বিজেপির দখলেই। এটা একেবারেই চক্রান্ত।’’

আরও পড়ুন: নির্বাচন সংক্রান্ত সব খবর

‘মহাগটবন্ধন’-এর থেকে এই পারফরম্যান্স তিনি একেবারেই আশা করেননি। ‘‘ইভিএমের বিরোধিতা করে এসেছে সারা দেশ, মানুষের বিশ্বাসটুকুও ফলপ্রকাশের পর হারিয়ে গেল, দেশের বিশ্বাসভঙ্গ করেছে বিজেপি।’’ বললেন তিনি।

নির্বাচন কমিশন এবং বিজেপি দু’য়ের বিরুদ্ধেই অভিযোগের আঙুল তুলে মায়া বলেন, ‘কোনও একটা রহস্য তো রয়েইছে। কারণ এই দু’জনের কেউই ব্যালট বাক্সের ভোটে রাজি হয়নি।’

২০১৭ সালেও বিধানসভা নির্বাচনের পর ইভিএম কারচুপির অভিযোগ আনেন মায়া।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE