বিপর্যস্ত ইন্ডিগোর বিমান পরিষেবা। এক দিন নয়, টানা তিন ধরে একই অবস্থা! দেশ জুড়ে বিমানবন্দরগুলিতে যাত্রীভোগান্তি চরমে। পরিষেবা স্বাভাবিক হতে আরও ৭২ ঘণ্টা সময় লেগে যেতে পারে! তবে কী কারণে এই বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হল, তা খতিয়ে দেখতে এ বার উচ্চপর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিল কেন্দ্র। অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী রামমোহন নায়ডু এই নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছে প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো (পিআইবি)।
বিবৃতি অনুযায়ী, ইন্ডিগো বিপর্যয়ের কারণ অনুসন্ধান করার প্রয়োজন রয়েছে। সেই কারণে অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী এই ঘটনার আনুষ্ঠানিক তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। কী ভুলের কারণে পরিস্থিতির সৃষ্টি হল, তা খতিয়ে দেখা হবে এই তদন্তে। ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি না-ঘটে, সেই কারণে এই তদন্তের প্রয়োজন রয়েছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র।
পিআইবি জানিয়েছে, ‘‘ভারত সরকার ইন্ডিগো-বিপর্যয়ের বিষয়ে উচ্চপর্যায়ের তদন্ত শুরু করার নির্দেশ দিয়েছে। ইন্ডিগোতে কী কী ভুল হয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হবে। সেই বিষয় পর্যবেক্ষণ করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের কথাও উল্লেখ করা হবে। প্রয়োজনে কর্তৃপক্ষের কাছে জবাব চাওয়া হবে। যাত্রীরা যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের কোনও অসুবিধার সম্মুখীন না-হন, তা নিশ্চিত করাই সরকারের অগ্রাধিকার।’’
আরও পড়ুন:
বিমান সংস্থাগুলিকে বিশেষত ইন্ডিগোকে তাদের পরিষেবা স্বাভাবিক করতে এবং যাত্রীদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। জানানো হয়েছে, পরিস্থিতির উপর সর্বদা নজর রাখছে অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক। বিমান সংস্থাগুলির সঙ্গে সমন্বয় এবং উদ্ভূত সমস্যাগুলির তাৎক্ষণিক সমাধানের জন্য ২৪ ঘণ্টা কন্ট্রোলরুম চালু করা হয়েছে। বিমান পরিষেবা সংক্রান্ত যে কোনও সমস্যা সমাধানের জন্য ওই কন্ট্রোলরুমে যোগাযোগ করা যাবে।
পরিস্থিতি মোকাবিলায় আসরে নেমেছে দেশের অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক। বিমানমন্ত্রী নায়ডু সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে তাঁর মন্ত্রকের আধিকারিক এবং ইন্ডিগো কর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন। এর আগে ইন্ডিগোর তরফে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে জানানো হয়েছিল যে, তাদের পরিষেবা পুরোপুরি স্বাভাবিক করার জন্য ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় দেওয়া হোক। তার মধ্যেই কেন্দ্রের তরফে ইন্ডিগো-কে ছাড় দিয়ে শ্রমবিধি শিথিলও করা হয়েছে।