রাঁচীতে হারলেও রায়পুরে জিতে এক দিনের সিরিজ়ে সমতা ফিরিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। এ বার বিশাখাপত্তনমে শেষ ম্যাচে জিতে টেস্টের পর আরও একটি সিরিজ় জিততে চাইছে তারা। প্রোটিয়া ক্রিকেটার ম্যাথু ব্রিৎজ়কে ভারতের দুর্বলতা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন। পাশাপাশি, দলের ভারসাম্যের কারণেও তাঁরা এগিয়ে থাকবেন বলে মনে করেন ব্রিৎজ়কে।
শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে ব্রিৎজ়কে বলেন, “একটা ভাল দলের বিরুদ্ধে ভাল ম্যাচ খেলতে নামব। আমরা জানি ওরা জেতার জন্য মরিয়া হয়ে থাকবে। দু’দলের কাছেই মরণ-বাঁচন ম্যাচ। তাই ভাল লড়াই হতে চলেছে।”
দু’টি ম্যাচেই দক্ষিণ আফ্রিকার লোয়ার অর্ডারকে আউট করতে বেগ পেতে হয়েছে ভারতীয় বোলারদের। বিশেষ করে রাঁচীতে মার্কো জানসেন এবং করবিন বশ আর একটু হলেই ম্যাচ ছিনিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন। দ্বিতীয় ম্যাচে সেই বশ এবং কেশব মহারাজ দলকে জিতিয়ে দেন। অর্থাৎ লোয়ার অর্ডারের ব্যাটারদের যে ভারত আউট করতে পারে না, তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়েছেন ব্রিৎজ়কে।
তিনি বলেছেন, “দলের মধ্যে দারুণ ভারসাম্য রয়েছে আমাদের। দু’জন ভাল মানের ব্যাটার রয়েছে। এ ছাড়া ব্রেভিস, জানসেন এবং বশের মতো ক্রিকেটার রয়েছে যারা একার হাতে ম্যাচ বদলে দিতে পারে। আমার মনে হয় একে অপরের পাশে দাঁড়াতে ভালই পারি। গোটা দলের মধ্যেও প্রচণ্ড আত্মবিশ্বাস রয়েছে।”
লোয়ার অর্ডারের ব্যাটারদের চালিয়ে খেলার প্রবণতা টপ অর্ডারকেও সাহায্য করছে বলে মনে করেন ব্রিৎজ়কে। তাঁর কথায়, “টপ অর্ডারের ব্যাটারেরা অনেক আত্মবিশ্বাসী হয়ে নামছে। ওরা জানে নীচের দিকে জানসেন এবং বশ রয়েছে। গত দুটো ম্যাচে বশকে দারুণ ইনিংস খেলতে দেখলাম। লোয়ার অর্ডার ধ্বংসাত্মক ইনিংস খেলতে পারছে বলেই টপ অর্ডার এতটা আত্মবিশ্বাসী।”
আরও পড়ুন:
ভারত টসে হারায় দু’টি ম্যাচেই দক্ষিণ আফ্রিকাকে পরে ব্যাট করতে হয়েছে। তবে প্রথমে ব্যাট করলেও তাঁরা জেতার ক্ষমতা রাখেন বলে দাবি করেছেন ব্রিৎজ়কে। তাঁর কথায়, “শিশির প্রভাব ফেলেছে এটা সকলেই দেখেছি। ফলে পরের দিকে ব্যাট করতে সুবিধা হয়েছে। তবে প্রথমে ব্যাট করতেও পারি আমরা। আশা করি এটা নিয়ে দলের মধ্যে আলোচনাও হবে। কী ভাবে রণকৌশল তৈরি হবে তখনই ঠিক করে নেব।”