Advertisement
০৫ মে ২০২৪
gorkhaland movement

জিটিএ বৈঠকে গোর্খাল্যান্ড দাবি

আজ গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (জিটিএ) নিয়ে কেন্দ্রের ডাকা বৈঠকে ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জি কিষেণ রেড্ডি ও গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার মূলত বিমল গুরুং-পন্থী নেতারা।

ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৮ অক্টোবর ২০২০ ০৫:৩৩
Share: Save:

রাজ্যে বিধানসভা ভোটের আগে ফের মাথাচাড়া দিল গোর্খাল্যান্ড প্রসঙ্গ।

আজ গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (জিটিএ) নিয়ে কেন্দ্রের ডাকা বৈঠকে ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জি কিষেণ রেড্ডি ও গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার মূলত বিমল গুরুং-পন্থী নেতারা। সেখানে পৃথক গোর্খাল্যান্ড রাজ্য গঠনের দাবি জানিয়ে সরব হন মোর্চা নেতারা। সূত্রের মতে, ওই দাবি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে কেন্দ্র। ত্রিপাক্ষিক এই বৈঠকে রাজ্য সরকারের কোনও প্রতিনিধি অবশ্য যোগ দেননি। নবান্নের যুক্তি, তাদের সঙ্গে আলোচনা না-করে বৈঠক ডাকাটা রাজ্যের অধিকারে হস্তক্ষেপ।

বৈঠক ঘিরে গোড়া থেকেই বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। প্রথমে কেন্দ্রের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, গোর্খাল্যান্ড নিয়ে আলোচনা হবে। এতে আপত্তি জানায় রাজ্য। তখন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানায়, ভুল করে ওই শব্দটি লেখা হয়েছিল। বিজ্ঞপ্তি পাল্টে জানানো হয় আলোচনার বিষয়বস্তু জিটিএ।

গোর্খাল্যান্ডের পরিবর্তে জিটিএ শব্দটি ব্যবহার হওয়ায় বৈঠকের আগেই ক্ষোভ জানান গুরুং-পন্থী নেতারা। আজ বৈঠকে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীকেও ক্ষোভের কথা জানান তাঁরা। বৈঠকের শেষে মোর্চার কার্যকরী সভাপতি লোপসাং লামা বলেন, ‘‘জিটিএ নিয়ে আলোচনার পরিবর্তে গোর্খাল্যান্ড গঠন নিয়ে একটি প্রস্তাব জমা দিয়েছি। সেই সঙ্গে গোর্খাদের জন্য জনজাতির মর্যাদা দাবি করেছি।’’

সূত্রের খবর, বৈঠকে কেন্দ্র জিটিএ নিয়ে আলোচনা করতে গেলে আপত্তি জানান গুরুং-পন্থীরা। তাঁরা বলেন, ২০১১ সালে হওয়া ত্রিপাক্ষিক চুক্তির শর্ত মানতে বারবার অস্বীকার করেছে রাজ্য সরকার। রাজ্য জিটিএ-র কাজে অনৈতিক হস্তক্ষেপ করছে বলে অভিযোগ করে তাঁরা জানান, এর প্রতিবাদে ২০১৭ সালে জিটিএ সদস্যরা ইস্তফা দেন। তাই বর্তমানে জিটিএ-র অস্তিত্ব নেই বলেই দাবি গুরুং-পন্থীদের। এই অবস্থায় গোর্খাল্যান্ডে জোর দেন লোপসাংরা। তাঁর মতে, আলাদা রাজ্য গোর্খাল্যান্ড গড়ার ডাক সবচেয়ে পুরনো। তা বিজেপির ইস্তাহারেও আছে।

তবে ভোটের আগে গোর্খাল্যান্ড প্রশ্নে বিশেষ জলঘোলা করতে নারাজ বিজেপি। বিশেষত আপত্তি রয়েছে রাজ্য নেতৃত্বের। তাঁদের মতে, ক্ষমতায় এলে বিজেপি রাজ্য বিভাজন করবে, তৃণমূল এমন প্রচার চালালে উত্তরবঙ্গে ভোটবাক্সে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। তাই গোর্খাল্যান্ড প্রশ্নে আপাতত ধীরে চলো নীতিরই পক্ষপাতী কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বৈঠকে বলেছেন, এ নিয়ে সরকারের শীর্ষ স্তরে আলোচনার পরে পরবর্তী বৈঠক ডাকা হবে।

গোটা ঘটনায় কিছুটা অসন্তুষ্ট বিজেপির জোটসঙ্গী জিএনএলএফ। বুধবার দার্জিলিঙে কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকের পরে জিএনএলএফের সাধারণ সম্পাদক মহেন্দ্র ছেত্রী বলেন, ‘‘দিল্লিতে চিঠি দেব। জিটিএ বাতিল করে পাহাড়ের রাজনৈতিক স্থায়ী সমাধান নিয়ে কেন্দ্রকে বিধানসভা ভোটের আগে ভাবতে হবে। নইলে আমাদেরও ভাবতে হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE