ছাত্র সংগঠন বরাবরই মজবুত হিমাচলের পাহাড়ে। সেই ভিতে দাঁড়িয়েই হিমাচল প্রদেশে একটি আসনে লাল ঝান্ডা ওড়াল সিপিএম। থেওগ আসনে জিতে বিধানসভায় যাচ্ছেন দলের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা রাকেশ সিংহ। এই নিয়ে দ্বিতীয় বার। এর আগে ১৯৯৩ সালে শিমলা আসন থেকে জিতেছিলেন তিনি। রাজ্য জুড়ে বিজেপি-ঝড়ের মধ্যেও সিপিএমের এই জয়কে ‘ঐতিহাসিক’ আখ্যা দিয়েছেন সীতারাম ইয়েচুরি।
বিজেপি, কংগ্রেস, সিপিএম—ত্রিমুখী লড়াইয়ে ব্যবধান কম হলেও সিপিএমের নেতাদের মত, হিমাচলের কিষাণ সভার সাধারণ সম্পাদক রাকেশ সিংহ জমি নিয়ে আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। পাশাপাশি শিমলায় দশ বছরের বালিকাকে ধর্ষণ ও খুনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ আন্দোলনের রাশ দলের নেতাদের হাতে ছিল। তারও সুফল পেয়েছে সিপিএম।
দলে যখন রাজনৈতিক রণকৌশল নিয়ে বিতর্ক চলছে, তখন হিমাচলের এই জয় নতুন প্রশ্ন তুলে দিল। তা হল, দেশের পক্ষে বেশি ক্ষতিকর হিসেবে বিজেপিকে চিহ্নিত করে কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মিলিয়ে চলে আদৌ কি কোনও লাভ আছে বামেদের? হিমাচলে এই জয় তো কংগ্রেস ও বিজেপি থেকে সমদূরত্ব বজায় রেখে, নিজস্ব সংগঠন ও আন্দোলনের জোরেই পেয়েছে সিপিএম। দলের নেতারাই বলছেন, ছাত্র সংগঠন এখনও হিমাচলে যথেষ্ট মজবুত। এসএফআইয়ের বর্তমান সম্পাদক বিক্রম সিংহও হিমাচলের নেতা। ২০১২-তে সিমলার মেয়র ও ডেপুটি-মেয়রের পদেও দুই সিপিএম নেতা সঞ্জয় চৌহান ও টিকেন্দ্র সিংহ পানওয়ার জিতে এসেছিলেন। কোনও ক্ষেত্রেই কংগ্রেসের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার প্রয়োজন পড়েনি। যদিও এর বিরুদ্ধ যুক্তিও এক কথায় উড়িয়ে দিতে পারছেন না দলের সকলে। তা হল শিমলার মতো অনেক আসনেই বিরোধী ভোট ভাগ হয়ে যাওয়ার ফলেই ফলে বিজেপি জিতেছে। তা না হলে বিজেপির ঝড় কিছুটা হলেও রুখে দেওয়া যেত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy