ভারত ঔপনিবেশিক শাসনের আইনের জাঁতাকলেই পড়ে থাকবে? নাকি আরও একটু আধুনিক হবে?
ইস্যুটা যখন সমকাম, তখন তা নিয়ে যে আরও আলোচনার প্রয়োজন, তা স্পষ্ট করে দিলেন খোদ সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস ঠাকুর। আলোচনাটা বৃহত্তর ভাবে চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য একটি পাঁচ সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চও গড়ে দেওয়া হল মঙ্গলবার।
এ ব্যাপারে ২০১৩ সালে সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া রায় খতিয়ে দেখার আর্জি জানিয়ে একটি আবেদন জমা পড়েছিল। প্রধান বিচারপতি টি এস ঠাকুরের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি ডিভিশন বেঞ্চে তার শুনানি চলার সময়েই আজ, তাঁর এই পর্যবেক্ষণের কথা জানান প্রধান বিচারপতি। তিন সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চের অন্য সদস্যরা ছিলেন বিচারপতি অনিল দাভে ও বিচারপতি জগদীশ সিংহ।
দুই প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ বা নারী স্বেচ্ছায় সমকামী সম্পর্কে জড়ালে, তা আদৌ কোনও অপরাধ নয় বলে রায় দিয়েছিল দিল্লি হাইকোর্ট। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৭ নম্বর ধারাকে বলা হয়েছিল, তা ‘সংবিধান-স্বীকৃত মৌলিক অধিকারের বিরোধী’। পরে ২০১৩ সালে সুপ্রিম কোর্ট সেই রায় খারিজ করে দেয়। শীর্ষ আদালত বলে, ‘‘৩৭৭ ধারা অসাংবিধানিক নয়।’’ তার মানে, সমকামিতা দণ্ডযোগ্য অপরাধই। ওই রায়ের প্রেক্ষিতেই একটি রিভিউ পিটিশন জমা পড়েছিল শীর্ষ আদালতে। তারই শুনানি ছিল আজ।
তবে ২০১৩ সালেই অবশ্য কিছুটা কৌশলে সংসদের কোর্টে বল ঠেলে দিয়ে শীর্ষ আদালতও বলেছিল, আইন বদল করা নিয়ে আলোচনা হোক সংসদে। সম্প্রতি কংগ্রেস সাংসদ শশী তারুর ৩৭৭ ধারাকে ‘অপরাধমুক্ত’ করতে লোকসভায় ব্যক্তিগত বিল পেশ করেন। তবে সেই বিল পাশ হয়নি।
এই পরিস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্টের এ দিনের পদক্ষেপকে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy