সকাল থেকেই চোখ ছিল টিভির দিকে। আন্তর্জাতিক ন্যায় আদালতের রায় ঘোষণার পরেই মহারাষ্ট্রের সাতারা জেলার জাভলি গ্রামে শুরু হল উৎসব।
এই জাভলিতেই কুলভূষণ যাদবের পৈতৃক বাড়ি। সেখানে তাঁর চাষের জমিতে একটি নতুন বাড়ি তৈরি করেছেন কুলভূষণ। গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, বছরে দু’তিন বার গ্রামে আসতেন কুলভূষণ। এই গ্রামে এখন পাকিস্তানের সমালোচনায় মুখর বাসিন্দারা। এক গ্রামবাসী বললেন, ‘‘ভারত সরকারের উচিত যে কোনও মূল্যে কুলভূষণকে দেশে ফিরিয়ে আনা। এটা সরকারের দায়িত্ব।’’
কুলভূষণের বাবা সুধীর যাদব ছিলেন মহারাষ্ট্র পুলিশের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার স্তরের অফিসার। কাকা সুভাষ যাদবও মহারাষ্ট্র পুলিশের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার পদে ছিলেন। সুভাষের বক্তব্য, ‘‘আমরা খুশি। এখন কুলভূষণ ফেরার অপেক্ষা করছি।’’
দক্ষিণ মুম্বইয়ের প্যারেলে কিছু দিন ছিলেন কুলভূষণ ও তাঁর পরিবারের সদস্যেরা। সেখানেও সকাল থেকে টিভি-র দিকে তাকিয়ে বসে পরিবারের সদস্য ও বন্ধুরা। কুলভূষণের এক বন্ধু জানান, একটা টিভি-র সামনেই ‘ইন্ডিয়া উইথ কুলভূষণ’ টি শার্ট পরে বসেছিলেন সকলেই। রায় ঘোষণার পরে বেলুন আর পায়রা ওড়ান তাঁরা। কুলভূষণের বন্ধু সচিন কালের কথায়, ‘‘ইমরান খান নয়া পাকিস্তানের কথা বলেন। তাঁকে কাজ করে দেখাতে হবে। কুলভূষণকে ফেরত পাঠালে ভারত-পাকিস্তানের মৈত্রীর ভিত্তি দৃঢ় হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy