বিয়ের জন্য ১৫ দিনের ছুটি পেলেন খুনে দোষী সাব্যস্ত সেই যুবক। গ্রাফিক্স: শৌভিক দেবনাথ।
বান্ধবীকে বিয়ে করতে চেয়ে প্যারোলের আবেদন করেছিলেন খুনে দোষী সাব্যস্ত এক যুবক। কর্ণাটক হাই কোর্ট সেই প্যারোলের আবেদন মঞ্জুর করল। বিয়ের জন্য ১৫ দিনের ছুটি পেলেন খুনে দোষী সাব্যস্ত সেই যুবক।
খুনের সাজা হিসাবে আনন্দ নামে এক যুবককে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিল আদালত। সেই যুবকের মা রথনাম্মা এবং তাঁর বান্ধবী নীতা কর্নাটক হাই কোর্টে পিটিশন জমা করেছিলেন। রথনাম্মা আদালতে আবেদন করেন, ছেলের সঙ্গে তাঁর বান্ধবীর এখনই বিয়ে না হলে মেয়েটির অন্য পাত্রের সঙ্গে বিয়ে হয়ে যাবে। নীতার এখন বয়স ৩০ বছর। গত ন’বছর ধরে আনন্দের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক। এখনই বিয়ে না হলে নীতার পরিবার আর অপেক্ষা করবে না।
অতিরিক্ত সরকারি আইনজীবী আদালতে জানান, কাউকে নিজের বিয়ের জন্য প্যারোল মঞ্জুর করা যায় না। তবে বন্দি যদি অন্য কারও বিয়েতে যোগদানের জন্য প্যারোল চাইতেন, তা হলে ভিন্ন পরিস্থিতি হত।
যদিও কর্নাটক হাই কোর্টের বিচারপতি এম নাগাপ্রসন্নের পর্যবেক্ষণ, বন্দি যে কারণে প্যারোলের আবেদন করেছেন, তা ভিন্ন পরিস্থিতি। বন্দি বিয়ে করতে না পারলে নিজের ভালবাসাকে হারিয়ে ফেলবেন। জেলে বন্দি থাকা অবস্থায় এই যন্ত্রণা সহ্য করা কঠিন। এই পর্যবেক্ষণের কথা জানিয়েই কারা বিভাগের ডিআইজি এবং পুলিশের চিফ সুপারকে, আনন্দের প্যারোল মঞ্জুরের নির্দেশ দেয় হাই কোর্ট। ৫ এপ্রিল থেকে ২০ এপ্রিল প্যারোল মঞ্জুর হয়েছে আনন্দের। খুনের সাজা হিসাবে তাঁকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছিল আদালত। পরে তা কমিয়ে ১০ বছর করা হয়। আনন্দ ইতিমধ্যে ৬ বছর জেল খেটেছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy