কন্নড়ভাষী নন, এমন ব্যাঙ্ক কর্তাদের কথা মাথায় রেখেই এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত।
সময় মাত্র ছ’মাস। তার মধ্যেই শিখতে হবে কন্নড় ভাষা। না হলে চাকরি খোয়াবেন কর্নাটকের ব্যাঙ্কগুলির শীর্ষ কর্তারা! এমন ফতোয়াই জারি করল কর্নাটক ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (কেডিএ)।
এক নির্দেশিকায় ওই সংস্থা জানিয়েছে, রাজ্যের বেসরকারি, গ্রামীণ ও রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলির রিজিওনাল ম্যানেজারদের কন্নড় ভাষায় সড়গড় হতেই হবে। কন্নড়ভাষী নন, এমন ব্যাঙ্ক কর্তাদের কথা মাথায় রেখেই এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। গ্রামীণ এলাকার গ্রাহকদের ব্যাঙ্ক সংক্রান্ত দৈনন্দিন কাজের সুবিধার জন্যই এই নির্দেশ বলে জানানো হয়েছে।
চলতি বছরের গোড়ায় বেসরকারি একটি ব্যাঙ্কের এক গ্রাহকের কন্নড় ভাষায় লেখা চেক নিয়ে সমস্যা দেখা দেয়। সে ঘটনা আদালত অবধি গড়িয়েছিল। তবে কোনও একটি ভাষা না জানার জন্য ব্যাঙ্ক কর্তাদের সরিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা কেডিএ-র আছে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তবে তারা ব্যাঙ্কের কাছে সুপারিশ করতে পারে বলেই একটা অংশের মত।
আরও পড়ুন
কুকুর বাঁধার বেল্ট গলায় জড়িয়ে ঝুলছে ছেলে!
কন্নড় ভাষার দাবিতে এর আগেও সরব হয়েছেন রাজ্যবাসীর একাংশ। গত জুলাইতেই বেঙ্গালুরু মেট্রোতে হিন্দিতে লেখা নির্দেশিকায় কালি মাখানোর মতো ঘটনাও ঘটেছে। মেট্রো-সহ রাজ্যের আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলিতে কন্নড় ভাষায় লেখা নির্দেশিকা চালুর জন্য টুইটারে ##NammaBankuKannadaBeku (আওয়ার ব্যাঙ্কস নিড কন্নড়) নামে প্রচারও শুরু হয়েছে। এ ছাড়া, ব্যাঙ্ক এটিএমগুলিতেও কেবলমাত্র হিন্দি ও ইংরেজির আধিক্য বলেও অভিযোগ স্থানীয় মানুষজনের একাংশের। তাঁদের দাবি, ওই ভাষার পাশাপাশি সহজ কন্নড় ভাষাতেও নির্দেশিকা লেখা থাকুক।
আরও পড়ুন
‘মাথা নত করবো না’, বর্ণিকার পাশেই তাঁর বাবা
কেডিএ জানিয়েছে, নিয়োগ প্রক্রিয়ার সময়ই যাতে কন্নড় ভাষায় পারদর্শীদের কাজে নেওয়া হয় সে দিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে। এ ছাড়া, সরোজিনী মহিষী রিপোর্টের সুপারিশ অনুযায়ী, স্থানীয় বাসিন্দাদেরই ‘সি’ এবং ‘ডি’ গ্রেডের ব্যাঙ্ককর্মী হিসেবে নিয়োগ করতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে কেডিএ। এর আগে মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া জানিয়েছিলেন, ভাষার জন্য স্থানীয় মানুষজনের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ বরদাস্ত করবে না সরকার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy