প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
শিক্ষক এবং শিক্ষিকাদের জন্য নয়া পোশাকবিধি চালু করল মহারাষ্ট্র সরকার। এ বিষয়ে তারা একটি নির্দেশিকাও জারি করেছে। স্কুলে আসতে হলে কী ধরনের পোশাক পরতে হবে, কোন ধরনের পোশাক নিষিদ্ধ— সব কিছুই উল্লেখ করে দেওয়া হয়েছে।
রাজ্যের সমস্ত স্কুলে সেই নির্দেশিকা পাঠিয়ে বলা হয়েছে, নতুন পোশাকবিধি নিয়ে যেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা সচেতন থাকেন। স্কুলপড়ুয়াদের উপর যাতে কোনও রকম কুপ্রভাব না পড়ে, তাই সে রকমই পোশাক পরতে হবে তাঁদের। শুধু সরকারি বা সরকার সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলগুলিতেই নয়, বেসরকারি স্কুলগুলিকেও এই নির্দশ মানতে হবে বলে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
নতুন পোশাকবিধি নিয়ে কী নির্দেশ দেওয়া হয়েছে? নয়া নির্দেশিকা অনুযায়ী, শিক্ষিকারা স্কুলে জিন্স এবং টি-শার্ট পরে আসতে পারবেন না। এমনকি গাঢ় রং, নকশা করা বা ছাপা পোশাকও পরে আসা যাবে না স্কুলে। শাড়ি পরতে পারবেন শিক্ষিকারা। সালোয়ার-কুর্তা পরলে তার সঙ্গে ওড়না থাকতে হবে।
শিক্ষকরাও জিন্সের প্যান্ট বা টি-শার্ট পরে আসতে পারবেন না। শোভনীয় জামা এবং প্যান্ট পরে আসতে হবে। জামা ছেড়ে রাখলে হবে না। গুঁজে পরতে হবে। শিক্ষক এবং শিক্ষিকাদের জন্য নয়া পোশাকবিধি প্রকাশ্যে আসার পরই রাজ্য জুড়ে সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে। শিক্ষক মহল এই নির্দেশিকার বিরোধিতা করেছে। মুম্বইয়ের এক শিক্ষিকা বলেছেন, “শিক্ষক-শিক্ষিকারা তাঁদের পোশাক নিয়ে যথেষ্ট ওয়াকিবহাল। স্কুল কর্তৃপক্ষগুলিও এ বিষয়ে যথেষ্ট সচেতন। ফলে পোশাক নিয়ে সরকারের এ ভাবে নাক গলানো, শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পছন্দ-অপছন্দের অধিকারে হস্তক্ষেপ কোনও ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।” রাজ্যের শিক্ষক-শিক্ষিকারা সরকারের এই নয়া নির্দেশকায় ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন।
রাজ্য জুড়ে শিক্ষক মহলে পোশাকবিধি নিয়ে ক্ষোভ বাড়তে থাকায় শিক্ষা দফতরের এক আধিকারিক বলেন, “সবেমাত্র নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। এই নির্দেশিকা বাধ্যতামূলক বলে মনে করা ঠিক নয়। এই পোশাকবিধি না মানলে কোনও পদক্ষেপ করা হবে কি না, সে বিষয়েও এখনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy