পাঁচ বছর আগে রাষ্ট্রপতি প্রার্থী বাছাই করতে দিল্লি এসেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সে বারও সনিয়া গাঁধীর সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন তিনি। আর এ বার যখন পরবর্তী রাষ্ট্রপতি নির্বাচন চলে এসেছে, ফের দিল্লিতে তৃণমূল নেত্রী। উদ্দেশ্য একই। তবে এ বারের মমতা রাজনৈতিক ভাবে অনেক বেশি সচেতন।
জুলাই মাসের মধ্যেই সেরে ফেলতে হবে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। শুধু মমতাই নন, অন্য বিরোধী নেতারাও বিষয়টি নিয়ে সক্রিয়। আজ মমতা যখন বিমানে দিল্লি আসছেন তখন পটনা থেকে নীতীশ কুমার জানান, প্রণব মুখোপাধ্যায় রাষ্ট্রপতি হিসেবে পুনর্নির্বাচিত হলে তিনি খুশি হবেন। নীতীশের এই মন্তব্যের সময় ঘিরেও জল্পনা শুরু হয়েছে দিল্লির রাজনীতিতে। অনেকেই বলছেন, বিরোধী জোটের সর্বসম্মত প্রার্থী ঠিক করার প্রশ্নে ক্রমশ জাতীয় নির্ধারক শক্তি হয়ে উঠেছেন মমতা। আর তা বুঝেই সম্ভবত আজ মমতা যখন বিমানে সেই সময়ে প্রণববাবুর নামের প্রশ্নে সওয়াল করে নিজের প্রাসঙ্গিকতা তুলে ধরলেন নীতীশ।
তবে এ বার মমতা আগে থাকতে কোনও নাম ভেবে নিয়ে আসেননি। সনিয়া-মমতার আগামিকালের বিকেলের বৈঠকের পরেই প্রার্থী বাছাইয়ের পথ নির্দেশিকা তৈরি হবে। আজ দিল্লি বিমানবন্দরে মমতাকে প্রশ্ন করা হয়, রাজ্যে যখন কংগ্রেস ও সিপিএমের বিরুদ্ধে লড়ছেন অথচ রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে আপনি সেই দলগুলির সঙ্গেই হাত মেলাচ্ছেন। জবাবে মমতা বলেন, ‘‘বাংলার সিপিএম-কংগ্রেস-বিজেপি একজোট। সেটা তাদের সমস্যা। দেশের ভাল করাটাই আমার অগ্রাধিকার।’’ তৃণমূল সূত্র বলছে, তবে প্রণববাবু আর এক বার প্রার্থী হলে মমতা খুশিই হবেন। কিন্তু আগে কংগ্রেস তথা বিরোধী শিবির কী ভাবছে সেটা দেখেই তিনি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে চাইছেন।
রসিকতার ছলে মমতা বলেন, ‘‘শাড়িতে কোনও পকেট হয় না। তাই আমিও পকেটে কোনও নাম নিয়ে আসিনি। আগে জানতে চাই অন্য দলগুলি কী ভাবছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy