Advertisement
১৭ মে ২০২৪
Obscene Photos

Obscene Videos: স্ত্রীর সহমতে তাঁর নগ্ন ভিডিয়ো নেটমাধ্যমে ছেড়ে গ্রাহক ধরতেন স্বামী! চলত চুটিয়ে ব্যবসা

স্ত্রীর সঙ্গে গ্রাহক শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হতেন। সেই ঘটনার ভিডিয়ো করতেন বিনয়। তার পর সেগুলি নেটমাধ্যমে ছাড়তেন। বাড়িতেই আসতেন গ্রাহক।

গ্রাফিক: সনৎ সিংহ

গ্রাফিক: সনৎ সিংহ

সংবাদ সংস্থা
বেঙ্গালুরু শেষ আপডেট: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৩:৩০
Share: Save:

স্ত্রী পরপুরুষের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হচ্ছেন, আর সেটা তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করছেন স্বামী। শুধু তাই নয়, সেই দৃশ্যের ভিডিয়ো এবং ছবিও তুলছেন তিনি। গোপন সূত্রে পুলিশ খবর পেয়েছিল গত তিন মাসে ধরে বেঙ্গালুরুর সিঙ্গাসান্দ্রা এলাকায় এই কাজ চালাচ্ছেন স্বামী-স্ত্রী। সেই খবর পেয়েই বুধবার ওই ব্যক্তির বাড়িতে তল্লাশি অভিযানে গিয়ে চমকে ওঠে পুলিশ।

ঘর থেকে প্রচুর পর্ন ভিডিয়ো, ফ্যান্টাসি মাস্ক, বেশ কয়েকটি মোবাইল, গ্রাহকদের নম্বর-সহ বেশ কিছু জিনিস উদ্ধার করে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় বিনয় কুমার ও তাঁর স্ত্রীকে। বিনয়ের একটি মুরগির খামার রয়েছে। তাঁর স্ত্রী একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করেন।

পুলিশের কাছে বিনয় দাবি করেন, জীবনকে অন্য রকম ভাবে উপভোগ করতেই নাকি তিনি এবং তাঁর স্ত্রী সিদ্ধান্ত নেন পরপুরুষের সঙ্গে সময় কাটানোর। তার পর স্ত্রীর সহমতেই তাঁর নগ্ন এবং অর্ধনগ্ন ছবি নেটমাধ্যমে ছাড়া শুরু করেন বিনয়। টুইটারে একটি ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খুলে ‘গ্রাহক চাই’ বিজ্ঞাপন দেন তিনি। সেখানে স্ত্রীর একের পর এক লাস্যময়ী এবং নগ্ন ছবি পোস্ট করা শুরু করেন।

টুইটার অ্যাকাউন্টে বর্ণনা দিয়ে বিনয় লেখেন— ‘আমরা স্বামী-স্ত্রী। বেঙ্গুলুরুতে থাকি। কেউ যদি আমার স্ত্রীর প্রতি আগ্রহী হন, তা হলে টেলিগ্রামে যোগাযোগ করুন।’ শুধু ছবিই নয়, ভিডিয়োও শেয়ার করে গ্রাহক টানার চেষ্টা করতেন তিনি।

সেই বিজ্ঞাপন দেখে বিনয়ের বাড়িতে একের পর এক গ্রাহক আসতে শুরু করেন। তার পরই শুরু হত ‘শ্যুটিং’। স্ত্রীর সঙ্গে সেই গ্রাহক শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হতেন। আর সেই ভিডিয়ো করতেন বিনয়। তার পর সেগুলিও নেটমাধ্যমে ছাড়তেন। এই পর্ব চলার সময় বিনয়ের স্ত্রী, সেই গ্রাহক এবং বিনয় রঙিন মুখোশ পরে নিতেন।

পুলিশের কাছে বিনয় আরও দাবি করেছেন, তাঁদের মাথায় এই পরিকল্পনা আসে পর্ন ছবি এবং নানা রকম পর্ন ভিডিয়ো দেখে। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে এক টুইটার গ্রাহক বিনয়ের করা টুইট বেঙ্গালুরুর পুলিশ কমিশনারকে ট্যাগ করার পর। তার পরই তদন্তে নামে পুলিশ। দক্ষিণ-পূর্ব বেঙ্গালুরুর পুলিশ কমিশনার মহাদেব জোশীর নেতৃত্বে একটি দল গঠন করে অভিযুক্তের টেলিগ্রাম কথোপকথনের উপর নজরদারি শুরু হয়। সেখান থেকেই বিনয়ের বাড়ির ঠিকানা হাতে আসে পুলিশের। তার পরই অভিযান চালিয়ে বিনয় এবং তাঁর স্ত্রীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Obscene Photos Videos bengaluru
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE