লাল কাপড়ে মোড়া ৩৬টি অস্থিকলস। মঞ্চে নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ। সঙ্গে রাজনাথ সিংহ, সুষমা স্বরাজ। আর অটলবিহারী বাজপেয়ীর পরিবারের সদস্যরা।
ঠিকানা— ১১, অশোক রোড। যে ঠিকানায় বাজপেয়ীর হাত ধরে এক সময়ে দুই থেকে প্রায় দু’শো হয়েছে বিজেপি। দলের কাছে এটি ‘পয়মন্ত’ ঠিকানা। মৃত্যুর পরে তাঁর দেহ এই ঠিকানা না ছুঁলেও আজ এল অস্থিকলস। মোদী-শাহরা রাজ্য বিজেপি সভাপতিদের হাতে সেটা তুলে দিলেন। রাজ্যে হবে যাত্রা। সব ‘পবিত্র’ নদীতে হবে অস্থি বিসর্জন।
এই সেই ঠিকানা, যেখান থেকে ছ’মাস আগে পাট চুকিয়ে নতুন ঝাঁ চকচকে দফতরে গিয়েছে দল। আনুষ্ঠানিক ভাবে বিজেপি ঘোষণা করেছিল, লাটিয়েন্স দিল্লিতে অশোক রোডের এই বাংলোটি তারা ফিরিয়ে দিচ্ছে। তা হলে সেখানেই কেন এলেন প্রধানমন্ত্রী? ঘটা করে অনুষ্ঠানও হল?
বিজেপি জানিয়েছিল, ২০১৯-এর আগে এই পুরনো দফতরটি দলের ‘ওয়ার-রুম’ হবে। আজ এক নেতা বলেন, ‘‘ফেরানোর কথা জানিয়েছি। তবে তা ঝুলে আছে।’’ কিন্তু গোটা দফতর ঘুরে দেখা গেল, কোথায় ফিরিয়ে দেওয়া! বিজেপির সোশ্যাল মিডিয়ার টিম বহাল তবিয়তে রয়েছে! ক্যান্টিনে দিব্যি ধোসা রান্না হচ্ছে! অনুষ্ঠান শেষে অমিত শাহ পুরনো দফতরে বসেই প্রায় দেড় ঘণ্টা বৈঠক করলেন দলের নেতাদের সঙ্গে।
আরও পড়ুন: মোদীর সেরা বিকল্প কে? সমীক্ষা বলল, একে রাহুল, দুইয়ে মমতা
বিজেপির এক নেতা বললেন, ‘‘ওয়ার-রুম হচ্ছে কি না, বলতে পারব না। তবে পুরনো দফতরে প্রধানমন্ত্রী এসে বুঝিয়ে দেন, এখনও এটা হাতছাড়া হয়নি। আর যদি ওয়ার-রুমই হয়, তা হলে প্রধানমন্ত্রী এসে তো তাতে সিলমোহরই বসিয়ে দিলেন!’’ এর মধ্যেই আজ বিজেপির অস্বস্তি বাড়িয়ে অটলের ভাইঝি করুণা শুক্ল বলেন, ‘‘বাজপেয়ীকে নিয়ে বিজেপির এই রাজনীতিতে আমি ব্যথিত, ক্ষুব্ধ।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy