গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
চিন সীমান্তে গিয়ে নতুন সুড়ঙ্গপথের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শনিবার এক দিনের অরুণাচল সফরে গিয়ে চিন সীমান্তবর্তী সেলা গিরিপথের দ্বিতীয় সুড়ঙ্গটির উদ্বোধন করবেন তিনি। ১৩ হাজার ফুট উচ্চতায় নির্মিত ওই সুড়ঙ্গের মাধ্যমে যে কোনও মরসুমে চিনের কাছে থাকা তাওয়াংয়ের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (এলএসি)-র কাছে পৌঁছতে পারবে ভারতীয় সেনা।
গালওয়ানকাণ্ডের পরে লাদাখ, সিকিম, অরুণাচল প্রদেশের এলএসি-তে চিনা ফৌজের সক্রিয়তার কথা মাথায় রেখে জরুরি ভিত্তিতে পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ শুরু করেছে ভারত। যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে দ্রুত সেনা এবং সামরিক সর়ঞ্জাম চিন সীমান্তে পাঠানোর জন্য বিশেষ ভাবে সড়ক, সুড়ঙ্গ এবং রেলপথ নির্মাণে গুরুত্ব দিতে চাইছে নয়াদিল্লি। সেই কর্মসূচিরই অন্যতম অংশ সেলা গিরিপথের দু’টি সুড়ঙ্গ।
১০০৩ মিটার দীর্ঘ প্রথম সুড়ঙ্গ এবং ১৫৯৫ মিটার দীর্ঘ দ্বিতীয় সুড়ঙ্গ নির্মাণে মোট খরচ হয়েছে ৮২৫ কোটি টাকা। সেই সঙ্গে তৈরি হয়েছে ৮ কিলোমিটারেরও বেশি দৈর্ঘ্যের সংযোগরক্ষাকারী সড়ক। ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার গতিতে দৈনিক ৩০০০ গাড়ি এবং ২০০০ পণ্যবাহী ট্রাক যাতায়াত করতে পারবে এই সুড়ঙ্গ দু’টিতে।
বহুমুখী সড়ক-সুড়ঙ্গ গড়ার এই পরিকল্পনা রূপায়ণের দায়িত্বে রয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের অধীনস্থ সংস্থা বর্ডার রোডস অর্গানাইজ়েশন (বিআরও)। সামরিক সরঞ্জাম এবং রসদ পরিবহণের পাশাপাশি এই প্রকল্পের অন্যতম উদ্দেশ্য আপৎকালীন পরিস্থিতির জন্য অস্ত্র মজুত রাখা। যুদ্ধ পরিস্থিতিতে চিনা ফৌজের বিমান এবং ক্ষেপণাস্ত্রের হামলা থেকে সামরিক সরঞ্জাম রক্ষা করার উদ্দেশ্যে এলএসি-র অদূরে নির্মীয়মাণ সড়ক-সুড়ঙ্গগুলিকে ক্ষেপণাস্ত্র এবং গোলাবারুদ মজুত করার কাজে ব্যবহারেরও পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
পাশাপাশি, আগামী দিনে যে সুড়ঙ্গগুলি তৈরি হবে, সেখানে অস্ত্র ও গোলাবারুদ রাখার বিশেষ পরিকাঠামো গড়া হবে। কয়েক বছর আগেই প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী অজয় ভট্ট চিন সীমান্তে পরিকাঠামো উন্নয়নে মোদী সরকারের তৎপরতার বার্তা দিয়েছিলেন। জানিয়েছিলেন, চিন, পাকিস্তান, মায়ানমার এবং বাংলাদেশ সীমান্তে ৩,৫৯৫ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণে মোট ২০,৭৬৭ কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে। এর মধ্যে শুধুমাত্র চিন সীমান্তে ২,০৮৮ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণে খরচ হয়েছে ১৫,৪৭৭ কোটি টাকা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy