রাহুল গাঁধী ও সনিয়া গাঁধী । ফাইল চিত্র।
প্রতিপক্ষ কঠিন। তার বিরুদ্ধে লড়াইটাও কঠিনতর। হারজিত যা-ই হোক, ভাল লড়াই দেওয়া গিয়েছে গুজরাতে। এ বার প্রস্তুত হও ২০১৯-এর জন্য।
আজ এ ভাবেই ছেলেকে উৎসাহ দিলেন মা।
এ দিন সকালে গুজরাতে আসনের গতিপ্রকৃতি কিছুটা স্পষ্ট হতেই দশ জনপথে গিয়ে সনিয়া গাঁধীর সঙ্গে দেখা করেন রাহুল গাঁধী। দলীয় সূত্র জানাচ্ছে, দু’দিন আগে নয়াদিল্লির কংগ্রেস দফতরে সভাপতি পদে রাহুলের অভিষেকের সময়ে যে আবেগঘন চিত্রনাট্য তৈরি হয়েছিল, তারই এক পারিবারিক পর্ব যেন আজ দেখা গেল মা ও ছেলের সাক্ষাতে। সনিয়া আশীর্বাদ করেছেন রাহুলকে।
তখনই বলেছেন ওই কথাগুলো— ‘‘সামনে বড় লড়াই, তৈরি হও।’’ প্রিয়ঙ্কা বঢরাও এসে আজ সকালে দেখা করেছেন দাদার সঙ্গে।
আরও পড়ুন: গুজরাতে শেষ হাসি হাসলেন মোদী, অক্সিজেন পেলেন রাহুল
কংগ্রেসের প্রবীণ নেতারা বলছেন, এ এক ঐতিহাসিক সন্ধিক্ষণ। সনিয়ার আপত্তি সত্ত্বেও রাজীব গাঁধী যখন প্রধানমন্ত্রী হন, পড়াশোনার জন্য রাহুলের সেই সময়টা মূলত কেটেছে বিদেশে। তখন ছেলের চিন্তা থাকত বাবাকে নিয়ে। রাজীব তাই রাহুলকে চিঠিতে অভয় দিতেন নিয়মিত। স্বামী ও সন্তানদের রাজনীতি থেকে দূরে রাখতে সচেষ্ট সে দিনের সনিয়াই পুত্রের হাতে নিজের বাহিনীর ভার তুলে দিলেন। এগিয়ে দিলেন লোকসভা নির্বাচনের মহাযুদ্ধে।
দলীয় সূত্রের খবর, গত কয়েক মাসে রাহুল যে ভাবে নতুন সমীকরণ তৈরি করে গুজরাতে লড়েছেন, তাতে ঘরোয়া মহলে সন্তোষ প্রকাশই করেছেন সনিয়া। তিনি যে দুর্নীতির প্রশ্নে কোনও আপস করতে চান না, মায়ের কাছে সে কথা আগেই স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন রাহুল। এমনকী সনিয়া-ঘনিষ্ঠ নেতা আহমেদ পটেলকেও গুজরাত ভোটে নাক গলাতে দেননি।
রাহুল যে ভাবে ঘুঁটি সাজিয়েছেন, তৎকালীন সভাপতি হিসেবে সনিয়া তাতে হস্তক্ষেপ করেননি। সদ্যসমাপ্ত অমৃতসর, জালন্ধর এবং পাটিয়ালার পুরভোটে ক্যাপ্টেন অমরেন্দ্র সিংহের সঙ্গে সমন্বয় রেখে বিজেপিকে উড়িয়ে দিয়েছেন রাহুল। খুশি হয়েছেন সনিয়া।
সভাপতি পদে রাহুলের অভিষেকের অনুষ্ঠানে সনিয়া বলেছিলেন, ‘‘এখন দেশের চালিকাশক্তি হল যুবশক্তি। রাহুলের নেতৃত্বে এই যুবশক্তি দেশকে অনেকটাই এগিয়ে নিয়ে যাবে।’’ আজ গুজরাত-লড়াই শেষে সেই আশীর্বাদই ফের এঁকে দিলেন সনিয়া, তাঁদের ব্যক্তিগত পরিসরে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy