রাহুল গান্ধী। ছবি: পিটিআই।
এক দিকে বিজেপির ‘বংশানুক্রমিক’ রাজনীতিকে নিশানা করে তোপ দাগলেন। অন্য দিকে মিজ়োরামের শাসক দল এমএনএফ-কে ‘বিজেপির প্রবেশদ্বার’ ও বিরোধী দল জ়েডপিএম-কে ‘আরএসএসের সিঁড়ি’ বলে মন্তব্য করলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী।
মিজ়োরামে ভোটের প্রচারে আসা রাহুল সোমবার তাঁর প্রচার কৌশল যেখানে শেষ করেছিলেন, মঙ্গলবার সেখান থেকেই শুরু করেন। পদযাত্রা ও চলন্ত বাসের যাত্রীদের সঙ্গে হাত মেলানোর পরের দিন রাহুল তাঁর জনসংযোগ-কৌশলের অংশ হিসেবে আইজ়লের রাস্তায় অ্যাপ-বাইকের পিছনে সওয়ার হয়ে ঘুরলেন। কংগ্রেসের নেতা-কর্মী ও প্রার্থীদের সঙ্গে বৈঠকের পরে সাংবাদিক সম্মেলন এবং তার পর লুংলেতে জনসভা সারলেন তিনি।
বিজেপি যেখানে কংগ্রেসের পরিবারকেন্দ্রিক রাজনীতি নিয়ে সরব, সেখানে রাহুল আইজ়লে পাল্টা প্রশ্ন তুললেন, “অমিত শাহের ছেলে কী করেন? কী করেন রাজনাথ সিংহের সন্তান? আমি তো শেষ বার শুনেছি অমিত শাহের ছেলে ভারতীয় ক্রিকেট চালাচ্ছেন। বিজেপির নেতা-মন্ত্রীদের দিকে তাকান। দেখতে পাবেন অনুরাগ ঠাকুর-সহ বহু নামেই পরিবারতন্ত্রের প্রতিফলন।” রাহুল মিজ়োরামবাসীকে সতর্ক করে বলেন, “এমএনএফ নিজেকে মিজ়োদের রক্ষাকর্তা হিসেবে তুলে ধরতে চাইলেও আদতে তারা কিন্তু নেডা ও এনডিএ-র শরিক। আবার জ়োরাম পিপলস্ মুভমেন্ট নামে বিরোধী হলেও আদতে তারা রাজ্যে ঘাঁটি গাড়তে চাওয়া আরএসএসের সিঁড়ি মাত্র। আর এই সব কিছুর কলকাঠি নাড়ছেন নেডা প্রধান তথা অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা। তাঁর হাত ধরে আরএসএস ও বিজেপি উত্তর-পূর্বের নিজস্ব সংস্কৃতি, ভাষা, পরিচয় মুছে ফেলতে চাইছে। তারা এক দেশ, এক নীতি, এক ভাষা, এক সংস্কৃতি চাপিয়ে দিতে চাইছে।” রাহুল সতর্ক করেন, “বিজেপি জানে তারা সরাসরি ঢুকতে চাইলে মিজ়োরা রুখে দাঁড়াবেন। তাই এমএনএফ ও জ়েডপিএম-কে ঢাল করে ঢুকছে তারা। এমএনএফ ও জ়েডপিএম-কে দেওয়া প্রতিটা ভোট আসলে বিজেপির ঘরেই জমা পড়বে। আরও বেশি করে আক্রান্ত হবে মিজ়োরামের ধর্ম, ইতিহাস, সংস্কৃতি। তা রক্ষার একমাত্র উপায় কংগ্রেসকে ভোট দেওয়া। তারা ধর্মীয় বিভিন্নতা, শাসনের বিকেন্দ্রীকরণে বিশ্বাসী।”
কংগ্রেস-শাসিত রাজ্যগুলির উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরে রাহুল বলেন, “কেন্দ্রে ক্ষমতায় এলে রাজস্থান, কর্নাটক ও ছত্তীসগঢ় মডেল গ্রহণ করবে কংগ্রেস। বিজেপি আমাদের প্রান্তিক দল হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করলেও আমরা কর্নাটক, রাজস্থান, ছত্তীসগঢ়ে তাদের হারিয়েছি। যে সব রাজ্যে ভোটের প্রস্তুতি চলছে, সেখানেও জিতব।” এ দিনও মণিপুরের প্রসঙ্গ টেনে রাহুল বলেছেন, “বিজেপি মণিপুরকে দ্বিখণ্ডিত করে দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদীর দায়িত্ব ছিল মণিপুরে আসা। কেন তিনি আসছেন না, তা এক ধাঁধা।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy