গুরমিত রাম রহিম। ফাইল চিত্র।
এক সময় তাঁর কথাই ধৈর্য সহকারে শুনতেন লক্ষ লক্ষ মানুষ। এখন তাঁর কথা শোনার কেউ নেই। সুনারিয়া জেলের ৮ বাই ৮ মাপের কুঠুরিতে বসে দেওয়ালের সঙ্গেই নাকি কথা বলছেন, তাকে কথা শোনাচ্ছেন! এমনই দশা হয়েছে ধর্ষক বাবা গুরমিত রাম রহিমের। জেল থেকে ছাড়া পাওয়া দলিত নেতা স্বরাজ কিরাদ দু’দিন আগেই জানিয়েছিলেন, রাতে ‘বাবা’র চিত্কারে সব কয়েদিরা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। তিনি কেঁদে কেঁদে বলেই চলেছেন, আমার কী দোষ? কী এমন ভুল করলাম? এ বার সে প্রশ্ন ছেড়ে দিয়ে দেওয়ালের সঙ্গেই প্রলাপ বকে যাচ্ছেন! জেল সূত্রকে উদ্ধৃত করে এই খবর দিচ্ছে টাইমস অব ইন্ডিয়া।
আরও পড়ুন: ‘কী ভুল করেছি আমি?’ সারা রাত সেলের ভিতরে কাঁদছেন রাম রহিম
আরও পড়ুন: ‘বাবা’ নয়, তার পরিচয় এখন কয়েদি নম্বর ৮৬৪৭
এক সপ্তাহ কেটে গিয়েছে সুনারিয়া জেলের বাসিন্দা হয়েছেন তিনি। ঠাট-বাট, আয়েশ-আরাম সব কিছুই এখন তাঁর ধরাছোঁয়ার বাইরে। জেলে দিনমজুরির ভিত্তিতে বাগানের কাজ করছেন। অন্য কয়েদিদের মতো দিনের শেষে জেল সুপারের ডাকে ‘হাজির’ বলে সাড়া দিচ্ছেন। ‘বাবা’র নাকি মোটেই এ সব পছন্দ হচ্ছে না। না হওয়ারই কথা। তাই মাঝে মধ্যেই মেজাজ হারিয়ে ফেলছেন। রাত বাড়লেই শুরু হয় তাঁর প্রলাপ বকা। জেলের অন্য কয়েদিরাও তাঁর কাণ্ডকারখানার জন্য নাকি রীতিমতো বিরক্ত।
ওই জেল থেকে ছাড়া পেয়ে দলিত নেতা স্বরাজ কিরাদ জানিয়েছিলেন, যে দিন ‘বাবা’ সুনারিয়া জেলের কয়েদি হয়ে এলেন সে দিন থেকেই জেলের সমস্ত নজর গিয়ে পড়েছে তার উপর। ফলে যে সব কয়েদির রিলিজ অর্ডার বেরিয়ে গিয়েছে বা যাদের জামিন পাওয়ার বিষয় ঠিকঠাক হয়ে গিয়েছে— সব কিছুই আটকে গিয়েছে এই রাম রহিমের কারণে। শুধু তাই নয়, রাম রহিমকে যখন সেলের বাইরে বের করা হচ্ছে, অন্য কয়েদিদের তখন সেলের ভিতরে ঢুকিয়ে দিচ্ছেন কারারক্ষীরা। স্বরাজের মতে, এটা অন্য কয়েদিদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। সে কারণে ‘বাবা’কে অন্য সেলে রাখার ব্যবস্থা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy