ভাষার কোনও ধর্ম নেই। মঙ্গলবার কলকাতায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন বাংলাদেশের বিশিষ্ট মানবাধিকার নেতা শাহরিয়ার কবীর। তিনি বলেন, বাহান্নয় মাতৃভাষার স্বীকৃতির জন্য যে বাংলাদেশকে রক্ত ঝরাতে হয়েছে, সেই দেশ এখন নতুন আক্রমণের মুখে। এই আক্রমণকারীরাও শুদ্ধ বাংলায় কথা বলেন, কিন্তু চিন্তা-চেতনায় তাঁরা ধর্মীয় মৌলবাদী। বাংলাদেশের পাঠ্য বই থেকে তাঁরা অমুসলিম লেখকদের লেখা বাদ দেওয়ার দাবি তুলেছেন। রবীন্দ্রনাথের কবিতাও সম্পাদনার স্পর্ধা দেখাচ্ছেন।
ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি কবীর বলেন, বর্তমান সরকার মুক্তবুদ্ধির মানুষের পাশে রয়েছে। কিন্তু কখনও কখনও তারাও মাথা নত করে ফেলছে। পাঠ্যসূচি সংস্কারের নামে তারা এ রকমই মৌলবাদীদের দাবিগুলি মেনে নিয়ে লজ্জাজনক উদাহরণ তৈরি করেছে। তবে, কবীর বলেন, ‘‘একুশে
মাথা নত না-করার শপথ
শিখিয়েছে বাংলাদেশের মানুষকে। জয় তাঁদের হবেই।’’
এ দিন কলকাতায় নানা সংগঠনের পাশাপাশি ভাষা শহিদ দিবস উদযাপন করে বাংলাদেশের ডেপুটি হাই কমিশনও। অন্য দেশের কূটনীতিকরাও শহিদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেও অংশ নেন তাঁরা। সকালে পার্ক সার্কাসের বাংলাদেশ তথ্যকেন্দ্র থেকে ডেপুটি হাই কমিশনের দফতর পর্যন্ত প্রভাত ফেরি হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy