শত্রুঘ্ন সিনহা।—ফাইল চিত্র।
বিতর্ক যেন তাঁর সব সময়ের সঙ্গী! কখনও নিজের দলের বিরুদ্ধে, কখনও দলের নেতাদের বিরুদ্ধে আবার কখনও দলের নীতির বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। একের পর এক মন্তব্য করে বিতর্কের মুখে পড়েছেন। বৃহস্পতিবারও মিটু প্রসঙ্গে ‘বিতর্কিত’ মন্তব্য করেন। দেশ জুড়ে ব্যাপক ভাবে ট্রোলড হন। সমালোচনার মুখে পড়েন। কার্যত প্রবল চাপের মুখে পড়ে শুক্রবারই সেই মন্তব্যের ব্যাখ্যা করতে নেমে পড়লেন বিজেপি সাংসদ শত্রুঘ্ন সিন্হা।
তাঁর কথার ভুল ব্যাখ্যা করা হচ্ছে। মিটু প্রসঙ্গে ‘বিতর্কিত’ মন্তব্যের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিলেন বিজেপি সাংসদ শত্রুঘ্ন সিন্হা। এ দিন তিনি মন্তব্য করেন, “মহিলাদের সামনে পুরুষরা মুখ খুলতে ভয় পান। বলা যায় না, কোন কথার কী অর্থ বার করবেন তাঁরা!” নিছক মজার ছলেই কথাগুলো বলেছেন বলে দাবি শত্রুঘ্নর। কিন্তু তাঁর সেই কথার অপব্যাখ্যা করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার শত্রুঘ্ন বলেছিলেন, “প্রত্যেক সফল ব্যক্তির পতনের মূলে মহিলারাই! মিটু প্রসঙ্গে এই মন্তব্যের পরই ব্যাপক ভাবে ট্রোলড হন বিজেপি সাংসদ। এ দিন সংবাদ সংস্থা আইএএনএস-কে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে শত্রুঘ্ন বলেন, “ওই মন্তব্যের পর এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে যে বিনোদন জগতের লোকেরা আমার দিকে বাঁকা চোখে তাকাচ্ছেন। শুধু তাই নয়, নারীবাদীরাও উঠেপড়ে লেগেছেন আমাকে চরিত্রহীন প্রমাণ করতে!”
তাঁর বাড়িতেও দু’জন মহিলা রয়েছেন। এক জন তাঁর মেয়ে সোনাক্ষী এবং অপর জন তাঁর স্ত্রী পুনম। শত্রুঘ্ন জানান, তাঁর সংসার পরিচালনা করেন এই দুই মহিলাই। বলেন, “প্রতিটি নারীর সঙ্গে সম্মানের সঙ্গে কথা বলি। তাঁদের যথাযোগ্য মর্যাদা দিই। ভুলে যাবেন না, আমার বাড়িতেও দু’জন প্রভাবশালী মহিলা আছেন। স্ত্রী পুনম, মেয়ে সোনাক্ষী।”
Shatrughan Sinha at a book launch in Mumbai yesterday: In the era of #MeToo,there is no hesitation in saying that behind every successful man’s fall also, there is a woman. I think I have been fortunate that despite doing all that I did, my name hasn’t popped up in the #MeToo pic.twitter.com/XAfhxbGhfg
— ANI (@ANI) February 7, 2019
আরও পড়ুন: প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের নোট ‘ফাঁস’, রাফাল নিয়ে ফের সরব রাহুল, পাল্টা তোপ সীতারামনের
আরও পড়ুন: শিলঙের রিসর্টে রাত কাটাবেন রাজীব কুমাররা, গাড়ি-নিরাপত্তার ব্যবস্থা করল মেঘালয় সরকার
তিনি নিজেকে খুব ভাগ্যবান বলে মনে করেন। কারণ আজকের দিনেও নানা রকম মজা-মস্করা-দুষ্টুমি করার পরেও তাঁর বিরুদ্ধে কেউ কোনও দিন অভিযোগের আঙুল তুলতে পারেনি। দাবি শত্রুঘ্নের। তাঁর বিরুদ্ধে মিটু অভিযোগ ওঠেনি। বৃহস্পতিবার এমনও মন্তব্য শোনা গিয়েছিল শত্রুঘ্নর মুখে। এ দিন সেই প্রসঙ্গ উঠলে তিনি বলেন, “অবশ্যই আমি ভাগ্যবান যে আমার নামে কোনও অভিযোগ নেই। আমি খুব বন্ধুসুলভ মানুষ। বিয়ের আগে আমার নায়িকাদের সঙ্গে ফ্লার্ট করতাম। কিন্তু তার মধ্যে কোনও বদ উদ্দেশ্য ছিল না।” পাশাপাশি তাঁর কটাক্ষ, “এখন এমনও হতে পারে কোনও এক দিন কোনও মহিলা এসে দাবি জানালেন যে, ৩০-৪০ বছর আগে তাঁর সঙ্গে খারাপ আচরণ করেছি, কিন্তু তখন বলতে পারেননি। কেননা আমার খুব ক্ষমতা ছিল!”
এই প্রথম নয়, দেশ জুড়ে যখন মিটু আন্দোলনের ঝড় বয়ে যাচ্ছিল, সিনেমা জগতের একের পর এক পরিচালক, প্রযোজক ও অভিনেতার নাম সামনে আসছিল, তখনও সরব হয়েছিলেন শত্রুঘ্ন। পরিচালক-প্রযোজক সুভাষ ঘাই এবং রাজকুমার হিরানির বিরুদ্ধে মিটু অভিযোগ ওঠায় তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন শত্রুঘ্ন। তখন তিনি বলেছিলেন, “কোনও পোক্ত প্রমাণ ছাড়াই ওঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। যে মানুষগুলো বছরের পর বছর ধরে নিজের যশ-খ্যাতি তিল তিল করে গড়ে তুলেছেন, মাত্র একটা টুইটেই সব শেষ!”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy