—প্রতীকী চিত্র।
গর্ভপাতের অনুমতি দেওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মত বদলাল সুপ্রিম কোর্ট। মঙ্গলবার ২৬ সপ্তাহের এক অন্তঃসত্ত্বাকে ওই অনুমতি দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতির বেঞ্চ। পরে মঙ্গলবার তাঁরাই ওই নির্দেশে স্থগিতাদেশ দেন। এ সংক্রান্ত একটি মেডিক্যাল রিপোর্ট জমা পড়েছিল আদালতে। যে খানে ভ্রুণের হৃদ্স্পন্দন পাওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছিল এমস। সেই রিপোর্টের প্রেক্ষিতেই তড়িঘড়ি স্থগিতাদেশ দেওয়া হয় গর্ভপাতের অনুমতিতে। একই সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে বিরক্তিও প্রকাশ করে সুপ্রিম কোর্ট।
দেশের শীর্ষ আদালতের বিচারপতি হিমা কোলি এমসকে বলেন, ‘‘এই রিপোর্টটি আরও আগে কেন জানায়নি এমস? বেঞ্চ রায় ঘোষণার পর কেন ওই রিপোর্ট দেওয়া হল? যে ভ্রুণের হৃদ্স্পন্দন শোনা যাচ্ছে, তাকে শেষ করতে চায় কোন আদালত! স্বর্গের শপথ নিয়ে বলতে পারি, আমাদের আদালত কখনওই তা চায় না।’’
এর পরেই সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দেয়, নতুন করে আবার মামলাটি শোনা হবে বুধবার। এ ব্যাপারে এমসের রিপোর্ট নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল সরকার পক্ষ। তাই সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় তাদেরই বলে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ প্রত্যাহারের জন্য আবেদন করতে। বুধবার দুপুর ২টোয় সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে ওঠার কথা মামলাটির। শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, ওই অন্তঃসত্ত্বা মায়ের কথাও আলাদা করে আবার শুনতে চায় তারা।
দুই সন্তানের জননী তৃতীয় বার অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর গর্ভপাতের সিদ্ধান্ত নেন। ২৬ সপ্তাহের ওই অন্তঃসত্ত্বা আদালতকে জানান, তিনি এখনও তাঁর দ্বিতীয় সন্তানকে স্তন্যপান করাচ্ছেন। এই মুহূর্তে তিনি আর্থিক ভাবে, সামাজিক ভাবে এবং মানসিক ভাবে আরও একটি সন্তানকে জন্ম দেওয়া এবং বড় করার অবস্থায় নেই। তাঁর শরীরেও একাধিক জটিলতা দেখা দিয়েছে। তিনি শেষ বারের সন্তানধারণ জনিত হতাশাতেও ভুগছেন। তাই আদালত যেন তাঁকে গর্ভপাতের অনুমতি দেয়। মঙ্গলবার ওই মায়ের আর্জি শোনার পরেই তাঁকে গর্ভপাতের অনুমতি দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। যাতে পরে স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy