প্রতীকী ছবি।
গরিব এবং নীচু জাত বলে এক ছাত্রীকে অপমান করার অভিযোগ উঠল উত্তরপ্রদেশের এক স্কুলের দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে। তাঁদের কটাক্ষ সহ্য করতে না পেরে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করল এক ছাত্রী। দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে হেনস্থা এবং আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ দায়ের করেছে ছাত্রীর পরিবার।
পুলিশ সূত্রে খবর, গত ২৭ অগস্ট স্কুলের ফি জমা দিতে গিয়েছিল ওই ছাত্রী। সেই সময় তাঁকে গরিব এবং নীচু জাত বলে কটাক্ষ করেন দুই শিক্ষক। ছাত্রীর পরিবার পুলিশকে জানিয়েছে, ১১০০ টাকা স্কুল ফি জমা দিয়েছিল তাঁদের কন্যা। কিন্তু তাঁকে যে রশিদ দেওয়া হয়েছিল সেখানে টাকার অঙ্ক কম লেখা হয়। তখন সে প্রতিবাদ করে জানায়, কেন রশিদে ১১০০ টাকা লেখা হল না? অভিযোগ, ছাত্রী প্রতিবাদ করতেই তখন তাকে অপমান করা হয়।
পরিবারের অভিযোগ, ক্লাসের মধ্যে অন্য পড়ুয়াদের সামনেও ওই দুই শিক্ষক ছাত্রীকে নীচু জাত বলে বার বার অপমান করতেন। সকলের সামনে এ ভাবে হেনস্থা করায় মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছিল ছাত্রীটি। গত ৪ অগস্ট তার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। একটি সুইসাইড নোটও উদ্ধার করেছে পুলিশ। সেই নোটে দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ তুলেছে ওই ছাত্রী। তাঁর এই চরম সিদ্ধান্তের জন্য দুই শিক্ষককেও দায়ী করেছে সে।
ছাত্রীর মায়ের দাবি, তাঁর কন্যাকে হেনস্থা করা হচ্ছে, এই অভিযোগ জানাতে পুলিশের কাছে গিয়েছিলেন। কিন্তু পুলিশ অভিযোগ নিতে চায়নি। এর পরই পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হন তিনি। তার পরই অভিযোগ নেওয়া হয়। তাঁদের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ উঠতেই দুই শিক্ষক পাল্টা ওই ছাত্রীর ‘চরিত্র’ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। ছাত্রীর মায়ের দাবি, তাঁর কন্যাকে বদনাম করার চেষ্টা চালাচ্ছেন শিক্ষকরা। গোটা ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy