প্রাক্তন ইডি-অফিসার মনোজ কুমারের জামিনের আবেদন খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। কলকাতার শেক্সপিয়র সরণি থানায় তাঁর বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ দায়ের হয়েছে। গ্রেফতারির আশঙ্কায় আগাম জামিনের জন্য কলকাতা হাইকোর্টের শরণাপন্ন হয়েছিলেন মনোজ। লাভ না হওয়ায় সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি। পশ্চিমবঙ্গের আইনজীবী চঞ্চল গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আজ শীর্ষ আদালত মনোজ কুমারের আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছে।’’
রোজ ভ্যালি কাণ্ডের তদন্তের সময় ইডি-র অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার মনোজের বিরুদ্ধে মূল অভিযুক্ত গৌতম কুণ্ডুর স্ত্রী শুভ্রার সঙ্গে মেলামেশার অভিযোগ উঠেছিল। এর পর চাটার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট কমল সোমানি মনোজের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানান যে তিনি প্রদীপ হীরাবট নামে এক ব্যক্তির মাধ্যমে তোলাবাজি চালাচ্ছিলেন। টাকা না দিলে মামলায় ফাঁসানোর হুঁশিয়ারি দিচ্ছিলেন। আজ সুপ্রিম কোর্টে রাজ্যের আইনজীবী হরিন পি রাভাল যুক্তি দেন, সব মিলিয়ে ৪০ লক্ষ টাকা তোলার প্রমাণ মিলেছে। মনোজের সঙ্গে প্রদীপ হীরাবটের ৬৫ বার ফোনে কথাবার্তার কল-রেকর্ড রয়েছে। হীরাবটকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এক মাস পরে তিনি জামিন পেয়ে যান। কিন্তু ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে দেওয়া বয়ানে তিনি মনোজের হয়ে টাকা তোলার কথা স্বীকার করেছেন। তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মধ্যে টাকা লেনদেনের প্রমাণ মিলেছে। তোলাবাজির টাকা বিদেশে পাচারের প্রমাণও মিলেছে।
একজন ইডি অফিসারের বিরুদ্ধে এই ধরনের অভিযোগ শুনে চমকে চান সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি জে চেলামেশ্বর ও এস আবদুল নাজির। রাভাল জানান, টাকা হাত বদলের সময় হলে একটি দশ টাকার নোট ছিঁড়ে প্রতিনিধি দু’জনের হাতে দু’টি টুকরো দেওয়া হতো। একটি টুকরোর সঙ্গে আর একটি মিললেই টাকা হাত বদল হতো। মনোজের আইনজীবীরা অবশ্য যুক্তি দিয়েছেন, তিনি ইতিমধ্যেই তদন্তে সাহায্য করছেন। দু’দিন আগেই পুলিশ তাঁকে দীর্ঘ ক্ষণ জেরা করেছে। তা ছাড়া মনোজ কুমার এখন আর ইডি-র সঙ্গে যুক্ত নন। তাঁকে তাঁর পুরনো শুল্ক দফতরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু রাজ্যের আইনজীবী যুক্তি দেন, মনোজকে পুলিশি হেফাজতে নিয়ে জেরা করা প্রয়োজন। এর পরেই জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয় আদালত। পুলিশ সূত্রের খবর, খুব শীঘ্রই মনোজকে গ্রেফতার করা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy