Advertisement
১৬ মে ২০২৪
Tripura Assembly Election 2023

বিজেপি কি ত্রিপুরায় মুখ্যমন্ত্রিত্ব থেকে মানিককে সরাবে? বুধবার শপথ অনুষ্ঠান, থাকবেন প্রধানমন্ত্রীও

তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে এ বারের বিধানসভা ভোটে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে কাউকে তুলে ধরেনি বিজেপি। বরং কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিককে বিধানসভা ভোটে দাঁড় করিয়ে জল্পনা উস্কে দিয়েছিল।

Who will be tne next CM of BJP, PM Narendra Modi to attend swearing-in ceremony on 8 March 2023

ত্রিপুরায় মুখ্যমন্ত্রিত্ব নিয়ে বিজেপির অন্দরে জল্পনা। ছবি: সংগৃহীত।

সংবাদ সংস্থা
শেষ আপডেট: ০৪ মার্চ ২০২৩ ১৫:১২
Share: Save:

পাঁচ বছর পরে সামান্য আসনের ব্যবধান নিয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে বিজেপি জোট। কিন্তু এখনও ত্রিপুয়ার মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচন করেনি তারা। বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহাকে সরানো হতে পারে বলেও জল্পনা তৈরি হয়েছে।

এই পরিস্থিতিতে শনিবার রাজ্য সরকারের তরফে জানিয়ে দেওয়া হল, বুধবার আগরতলায় পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রীকে শপথবাক্য পাঠ করাবেন রাজ্যপাল সত্যদেও নারায়ণ আর্য। আর সেই কর্মসূচিতে হাজির থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী স্বয়ং।

৬০ সদস্যের ত্রিপুরা বিধানসভায় বিজেপি এ বার ৫৫টিতে লড়ে ৩২টি আসনে জিতেছে। সহযোগী আইপিএফটি ৬টিতে লড়ে জিতেছে মাত্র ১টিতে। বিজেপির ঝুলিতে গিয়েছে প্রায় ৩৯ শতাংশ ভোট। সঙ্গী আইপিএফটি এ বার ভোট পেয়েছে মাত্র ১.২ শতাংশ। বাম-কংগ্রেস জোট প্রায় ৩৮ শতাংশ ভোট পেয়ে ১৪টি আসনে জিতেছে। আর এক বিরোধী দল তিপ্রা মথা প্রায় ২০ শতাংশ ভোট পেয়ে ১৩টি আসনে জিতেছে।

মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা হাজারের একটু বেশি ভোটের ব্যবধানে জিতলেও হেরে গিয়েছেন উপমুখ্যমন্ত্রী জিষ্ণু দেববর্মা, রাজ্য বিজেপির সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্যের মতো প্রথম সারির নেতারা। ২০১৮ সালের বিধানসভা ভোটে ত্রিপুরার ৬০টি বিধানসভা আসনের মধ্যে ৫১টি লড়ে ৩৬টিতে জিতেছিল বিজেপি। পেয়েছিল প্রায় ৪৪ শতাংশ ভোট। তাদের সহযোগী জনজাতি দল আইপিএফটি ৯টিতে প্রার্থী দিয়ে ৮টিতেই জেতে। ভোট পেয়েছিল প্রায় ৭.৪ শতাংশ। অর্থাৎ, ২০১৮ সালের বিধানসভা ভোটের তুলনায় প্রায় ১০ শতাংশ ভোট কমে গিয়েছে বিজেপি জোটের।

তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে এ বারের বিধানসভা ভোটে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে কাউকে তুলে ধরেনি বিজেপি। বরং কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিককে বিধানসভা ভোটে দাঁড় করিয়ে জল্পনা উস্কে দিয়েছিল। প্রাক্তন সিপিএম মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারের বিধানসভা কেন্দ্র ছিনিয়ে এনে এ বার নতুন সমীকরণের সম্ভাবনা উস্কে দিয়েছেন প্রতিমা।

২০১৮ সালের বিধানসভা ভোটেও কোনও ‘মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী’ ঘোষণা করেনি বিজেপি। ভোটের পর বেছে নেওয়া হয়েছিল প্রথম বার বিধানসভায় নির্বাচিত বিপ্লব দেবকে। কিন্তু গত বছর মে মাসে তাঁকে সরিয়ে আগরতলার কুর্সি দেওয়া হয় মানিককে। এ বার কি আবার পালাবদলের পালা?

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE