—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
স্ত্রী অন্যের সঙ্গে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়েছেন। এই সন্দেহের বশে নাবালক পুত্র-কন্যার সামনে শ্বাসরোধ করে স্ত্রীকে খুন করেছেন বলে অভিযোগ উঠল উত্তরপ্রদেশের এক যুবকের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, উত্তরপ্রদেশের একটি সড়কে গাড়ি থামিয়ে স্ত্রীকে খুন করার পর পুত্র-কন্যাকেও দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেওয়ার ছক কষেছিলেন তিনি। তবে টহলদারি পুলিশের নজরে পড়ে যাওয়ায় প্রাণে বেঁচে যায় তারা। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, রবিবার ভোরে সুলতানপুরের কাছে লখনউ-পূর্বাঞ্চল এক্সপ্রেসওয়েতে রাহুল মিশ্র নামে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। ওই এক্সপ্রেসওয়েতে গাড়ি করে যাচ্ছিলেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী মণিকা গুপ্ত (৩২)। সঙ্গে ছিল দম্পতির ১২ বছরের কন্যা অংশিকা এবং ছ’বছরের পুত্র অর্থব। অভিযোগ, সুলতানপুরের সিউর গ্রামের কাছে কুরেভর থানা এলাকায় ওই এক্সপ্রেসওয়েতে গাড়ি থামিয়ে শ্বাসরোধ করে স্ত্রীকে খুন করেন রাহুল।
পুলিশের দাবি, জেরার মুখে নিজের অপরাধের কথা স্বীকার করেছেন রাহুল। জেরা চলাকালীন স্ত্রীর বিরুদ্ধে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ার অভিযোগ করেন তিনি। সে কারণেই তাঁকে খুন করেন বলে দাবি ধৃতের।
কুরেভর থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক পারভীন যাদব সংবাদমাধ্যমের কাছে জানিয়েছেন, রবিবার ভোরে লখনউ থেকে রায়বরেলী যাওয়ার জন্য গাড়িতে উঠেছিলেন রাহুল। গাড়িতে তাঁর স্ত্রী এবং দুই সন্তানও ছিলেন। তদন্তকারীদের দাবি, রায়বরেলীর যাওয়ার রাস্তায় গাড়ি নিয়ে বেরোলেও সেখানে যায়নি রাহুল। তার বদলে লখনউ-পূর্বাঞ্চল এক্সপ্রেসওয়ের দিকে গাড়ি ঘুরিয়ে নেন। এর পর সিউর গ্রামের কাছে ওই এক্সপ্রেসওয়েতে স্ত্রীকে খুন করেন। পুলিশের টহলদারি গাড়ি এসে পড়ায় তাঁর সন্তানদের খুনের ছক ভেস্তে যায়।
মণিকার দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। রাহুলের বিরুদ্ধে অফআইআর দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে তারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy