Advertisement
১৭ মে ২০২৪

লিভ-ইন করলে দিতে হবে ‘ঘোষণাপত্র’! অভিন্ন দেওয়ানি বিধির খসড়ায় কী বলল উত্তরাখণ্ডের কমিটি

খসড়ায় বলা হয়েছে, বিবাহবিচ্ছেদের ক্ষেত্রে স্বামী ও স্ত্রী উভয়েরই সমান কারণ ও ভিত্তি থাকবে। বিয়ে ভাঙার জন্য স্বামী যে যে কারণ দেখাবেন, তা স্ত্রীর ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে।

Uttarakhand UCC draft: declaration mandatory in live-in relationship

লিভ-ইন সম্পর্কের কথা সরকারকে জানিয়ে ‘ডিক্লারেশন’ দিতে হবে। —প্রতীকী চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৯:০২
Share: Save:

অভিন্ন দেওয়ানি বিধির খসড়া প্রস্তুত করার জন্য একটি কমিটি গঠন করেছিল উত্তরাখণ্ড সরকার। শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামির কাছে সেই সংক্রান্ত নথি জমা দিল কমিটি। জানা গিয়েছে, তাতে বহুবিবাহ প্রথা বন্ধ করার সুপারিশ করা হয়েছ। এ ছাড়া সন্তানদের সমান উত্তরাধিকার এবং লিভ-ইন সম্পর্কের ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক ভাবে ঘোষণা করার মতো বেশ কিছু বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

কমিটির শীর্ষে ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি রঞ্জনপ্রকাশ দেশাই। মুখ্য সেবক সদনে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে শুক্রবার কমিটির তরফে মুখ্যমন্ত্রী কাছে অভিন্ন দেওয়ানি বিধির খসড়া জমা দেওয়া হয়। অশান্তির আশঙ্কায় তার আগে ধামির সরকারি বাসভবনের বাইরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছিল।

সূত্রের খবর, আইনের খসড়ায় মেয়েদের বিয়ের ন্যূনতম বয়স প্রস্তাব করা হয়েছে ১৮ বছর। ছেলেদের ক্ষেত্রে তা ২১ বছর। বিয়ের জন্য ম্যারেজ রেজিস্ট্রেশন অর্থাৎ বিবাহ নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

খসড়ায় আরও বলা হয়েছে, বিবাহবিচ্ছেদের ক্ষেত্রে স্বামী ও স্ত্রী উভয়েরই সমান কারণ ও ভিত্তি থাকবে। বিয়ে ভাঙার জন্য স্বামী যে যে কারণ দেখাবেন, তা স্ত্রীর ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে।

যতদিন এক স্ত্রী জীবিত থাকবেন, ততদিন দ্বিতীয় বিবাহ করা যাবে না, অর্থাৎ পুরুষের বহুবিবাহ আইনত নিষিদ্ধ করার কথা বলা হয়েছে প্রস্তাবে।

পিতা-মাতার সম্পত্তিতে উত্তরাধিকারের ক্ষেত্রে পুত্র ও কন্যার সমান অধিকার থাকবে। লিভ-ইন সম্পর্কে থাকলে সে কথা সরকারকে জানিয়ে একটি ‘ডিক্লারেশন’ দিতে হবে যুগলকে।

এ ছাড়া তফসিলি জনজাতিভুক্ত মানুষকে অভিন্ন দেওয়ানি বিধির আওতায় না রাখার প্রস্তাব দিয়েছে কমিটি।

অভিন্ন দেওয়ানি বিধি অনুযায়ী আইন পাস করার জন্য উত্তরাখণ্ড বিধানসভার একটি বিশেষ চার দিনের অধিবেশন ডাকা হয়েছে যা আগামী ৫ শুরু হবে। চলবে ৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। বিধির খসড়া পাওয়ার পর শনিবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে তা অনুমোদন করবে রাজ্য সরকার। খসড়াটি আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি বিধানসভায় বিল আকারে পেশ করা হতে পারে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE