দৈনিক ৩০০ টাকা রোজগার করতে কেরল গিয়ে মালদহের বাঙালি ছেলে রাতারাতি কোটিপতি! মফিজুল রহমান আচমকাই সারা ভারতে খবরের শিরোনামে।
রাজমিস্ত্রির কাজ করে মালদহে রোজগার ভাল হচ্ছিল না। শুনেছিলেন ওই একই কাজ কেরলে গিয়ে করলে অনেক বেশি আয়। বেশ খানিকটা কাঠখড় পুড়িয়ে ৪ মার্চ কেরলে পৌঁছন মালদহের উত্তর লক্ষ্মীপুরের মফিজুল রহমান। কিন্তু কেরলে এখন আর কোনও কাজ নেই মফিজুলের। কারণ এক রাতেই সে কোটিপতি হয়ে গিয়েছে।
কীভাবে?
আহর শেখের ছেলের বড়লোক হওয়ার সাধ বহু দিনের। উত্তর লক্ষ্মীপুরে মাঝেমধ্যেই তিনি লটারি কাটতেন। কিন্তু টিকিটের দাম বার বারই গচ্চা গিয়েছে। কপাল খোলেনি কোনও দিনই। রাজমিস্ত্রির কাজ করতে ৪ মার্চ কেরলের ভেল্লিমাডুকুন্নুতে পৌঁছয় ২২ বছরের মফিজুল। অভ্যাসের বশে সেখানেও ৫০ টাকা দিয়ে লটারির টিকিট কেটেছিল সে। পর দিনই ফল বেরোয়। মফিজুল জানতে পারে সে ১ কোটি টাকা জিতেছে।
আরও পড়ুন:
মেয়েদের অন্তঃসত্ত্বা করলেই ফ্যানেরা খুশি, কে বলছেন এ কথা?
প্রথমে বিশ্বাস হচ্ছিল না মফিজুলের। কেরলে পা দিয়েই বড়লোক হওয়ার সাধ মিটে গেল! বিস্ময়ের ঘোর কাটতে একটু সময় লেগেছে মফিজুলের। কিন্তু ঘোর কাটতেই মাথায় চেপে বসেছে ভয়। ১ কোটি টাকার টিকিট তো যে সে ব্যাপার নয়। যে কোনও মূহূর্তে লুঠ হয়ে যেতে পারে টিকিটটাই। তাই যে ইমারত ব্যবসায়ীর অধীনে কাজ করতে গিয়েছিলেন মফিজুল, তাঁরই দ্বারস্থ হন সাহায্য চেয়ে। মফিজুলকে তিনি স্থানীয় থানায় নিয়ে যান। পুলিশ মফিজুলকে নিয়ে যায় নিকটবর্তী ব্যাঙ্কে। সেখানে তার অ্যাকাউন্ট খোলা হয়। টিকিট জমা করা হয়েছে সেই অ্যাকাউন্টেই।
ভাগ্য ফেরাতেই কেরল গিয়েছিলেন মালদহের প্রত্যন্ত গ্রামের বাঙালি যুবক। খেটেখুটে একটু বেশি আয় করবেন। ইচ্ছা ছিল তেমনই। কিন্তু কেরলে এক রাত কাটতে না কাটতেই এমন ভাবে সত্যি হয়ে যাবে বড়লোক হওয়ার স্বপ্ন, স্বপ্নেও ভাবেননি মফিজুল। উত্তর লক্ষ্মীপুরে ফিরছেন মফিজুল। একটা ভদ্রস্থ বাড়ি করতে হবে। আর কিছুটা চাষের জমি কিনতে হবে। আপাতত মফিজুলের ভাবনা এটুকুই। আর কিছু এখনও ভেবে উঠতে পারনেনি মালদহের যুবক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy