গৌতম রায়
মন্ত্রী না হলেও মন্ত্রীরই মর্যাদা পাবেন বরাক উপত্যকা উন্নয়ন পর্ষদের নবনিযুক্ত উপদেষ্টা গৌতম রায়। কাটলিছড়ার বিধায়কের নতুন ওই দায়িত্ব নিয়ে সরগরম স্থানীয় রাজনীতি। এই নিয়োগে বরাকের কোনও উন্নয়ন হবে না বলে মনে করছে বিজেপি। ক্ষোভের আঁচ ছড়িয়েছে কংগ্রেসের অন্দরেও।
অসমের মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈয়ের বিরোধী শিবিরের লোক হিসেবে পরিচিত গৌতমবাবুকে সম্প্রতি রাজ্য মন্ত্রিসভা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। ১৯ বছর ধরে তিনি অসম মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন। ওই ঘটনায় তাঁর অনুগামীরা হতাশ হয়েছিলেন। নতুন পদে গৌতমবাবুর নিযুক্তিতে তাঁরা ফের ‘অক্সিজেন’ পেয়েছেন। মন্ত্রীপদ যাওয়ার পর রাজনীতি থেকে গৌতমবাবুর অবসর প্রায় নিশ্চিত বলে মনে করেছিলেন অনেকেই। মুখ্যমন্ত্রীর উপদেষ্টা হওয়ার পর তাঁরা অবাক।
বিজেপির বক্তব্য, এই নিয়োগ বরাকের উন্নয়নে কাজে আসবে না। বরাকের বিজেপি বিধায়ক দিলীপকুমার পাল বলেন, “গৌতমবাবু বরাক উপত্যকার উন্নয়ন করতে ইচ্ছুক হলে, রাজ্যের মন্ত্রী থাকাকালীনই তা করতে পারতেন।”
গৌতমবাবু আজ গুয়াহাটি থেকে শিলচরে পৌঁছন। বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানাতে ভিড় জমে। বঙ্গভবনে ‘বরাক উপত্যকা বঙ্গ সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্মেলন’-এর কাছাড় জেলা শাখা তাঁকে সংবর্ধনা জানায়। বরাকে ‘মিনি সচিবালয়’ স্থাপনের জন্য তাঁরা গৌতমবাবুর কাছে দাবি জানান। শিলচর বার লাইব্রেরির তরফে উপত্যকায় হাইকোর্টের বেঞ্চ গঠনে উদো্যগী হতেও তাঁকে অনুরোধ জানানো হয়।
গৌতমবাবু বলেন, “আরও ভাল ভাবে বরাক উপত্যকায় উন্নয়নের সুযোগ পেলাম।” গৌহাটি হাইকোর্টে স্থায়ী প্রধান বিচারপতি দায়িত্ব নেওয়ার পর, তাঁর সঙ্গে শিলচরে হাইকোর্টের বেঞ্চ স্থাপনের বিষয়ে কথা বলার আশ্বাস দেন তিনি।
গৌতমবাবুর নিয়োগ নিয়ে শিলচরের কংগ্রেস সাংসদ সুস্মিতা দেব সরাসরি মন্তব্য করতে চাননি। কিন্তু তাঁর কথায় এ নিয়ে ক্ষোভ স্পষ্ট হয়েছে। সাংসদের মন্তব্য, “ক্ষমতা ও অর্থ কখনও স্থায়ী হয় না। ক্ষমতা পাওয়া বড় বিষয় নয়। তাকে কী ভাবে ব্যবহার করলাম, সেটাই আসল।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy