চিনে্র নতুন এয়ারক্র্যাফ্ট ক্যারিয়ার।
উত্তর কোরিয়াকে নিয়ে যখন উত্তেজনা তুঙ্গে আর রীতিমতো থমথমে দক্ষিণ চিন সাগরের পরিস্থিতি, ঠিক সেই সময়েই নতুন একটি এয়ারক্র্যাফ্ট ক্যারিয়ার জলে ভাসাল চিন। নতুন এয়ারক্র্যাফ্ট ক্যারিয়ারটি পুরোপুরি দেশীয় প্রযুক্তিতে বানানো। যার থেকে চিনের সর্বাধুনিক ‘শেনইয়াং-জে-১৫’ যুদ্ধবিমানগুলি ওড়ানো যাবে।প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাশিয়াও এমন একটি সর্বাধুনিক এয়ারক্র্যাফ্ট ক্যারিয়ার বানানোর তোড়জোড় করছিল। কিন্তু চিন টক্কর দিয়ে গেল রাশিয়াকে।
চিনা সেনাবাহিনীর একটি সূত্রকে উদ্ধৃত করে সে দেশের সরকারি সংবাদমাধ্যম ‘জিনহুয়া’ জানিয়েছে, নতুন এয়ারক্র্যাফ্ট ক্যারিয়ারটির নকশা চিনই বানিয়েছে। আর সেটি বানানো হয়েছে উত্তর-পূর্ব চিনের দালিয়ান বন্দরে। বুধবার আনুষ্ঠানিক ভাবে ওই এয়ারক্র্যাফ্ট ক্যারিয়ারটি জলে ভাসানো হলেও ২০২০ সালের আগে সেটি চিনা সেনাবাহিনী কাজে লাগাতে পারবে না। বুধবার, চিনা নৌবাহিনীর ৬৮তম জন্মদিনে নতুন এয়ারক্র্যাফ্ট ক্যারিয়ারটিকে আনুষ্ঠানিক ভাবে জলে ভাসানোর সময় হাজির ছিলেন চিনের সেন্ট্রাল মিলিটারি কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান ফ্যান চ্যাংলং।
‘জিনহুয়া’ জানিয়েছে, পুরোপুরি দেশীয় প্রযুক্তিতে চিনের বন্দরে বানানো হলেও নতুন এয়ারক্র্যাফ্ট ক্যারিয়ারটির নকশা বানানো হয়েছে ইউক্রেনের কাছ থেকে কেনা প্রথম এয়ারক্র্যাফ্ট ক্যারিয়ার ‘লায়োনিং’-এর ধাঁচেই। ১৯৯৮ সালে চিন ওই এয়ারক্র্যাফ্ট ক্যারিয়ারটি কিনেছিল।
আরও পড়ুন- চাপ উড়িয়ে মহড়া আমেরিকার সঙ্গে
বেজিং অবশ্য মনে করছে, দক্ষিণ চিন সাগরের পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে রাখতে গেলে আরও অন্তত চারটি নতুন এয়ারক্র্যাফ্ট ক্যারিয়ার প্রয়োজন চিনা নৌবাহিনীর। আর সেগুলি ২০৩০ সালের মধ্যেই চিনা নৌবাহিনীর হাতে এসে যাওয়াটা খুব দরকার। এই মুহূর্তে আমেরিকার হাতে রয়েছে ১০টি এয়ারক্র্যাফ্ট ক্যারিয়ার। ইউক্রেনের কাছ থেকে কেনা এয়ারক্র্যাফ্ট ক্যারিয়ারটি চিন ইতিমধ্যেই বেশ কয়েক বার ব্যবহার করেছে দক্ষিণ চিন সাগর ও তাইওয়ানে নৌ-মহড়ায়। চিনের সরকারি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, এ বার ওই পুরনো এয়ারক্র্যাফ্ট ক্যারিয়ারটিকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজে লাগানো হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy