—প্রতীকী ছবি।
দক্ষিণ আফ্রিকার এক পুলিশ স্টেশনে ঢুকল এক যুবক। হাতে একটা ব্যাগ। ঢুকেই বলল, “আর পারছি না। আমি মানুষের মংস খেতে খেতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছি।” বলেই ব্যাগ থেকে বের করল মানুষের একটা কাটা পা এবং একটা হাত। হতভম্ব ভাব কাটিয়ে ওই যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাকে জেরা করে আরও চার নরখাদককে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, ডারবান থেকে ১১০ মাইল উত্তর-পশ্চিমের খয়াজুলু-নাতাল এলাকায় দীর্ঘ দিন ধরেই এই মারাত্মক কাজ চালচ্ছিল। গ্রেফতার হওয়া ওই চার যুবকের বয়স বাইশ থেকে বত্রিশের মধ্যে। পুলিশের এক মুখপাত্র ক্যাপ্টেন চারমেইন স্ট্রুইগ জানিয়েছেন, সম্প্রতি এক মহিলাকে খুন করে তাঁর দেহ নিজেদের কাছে রেখে দিয়েছিল ওই চার যুবক। সন্দেহ করা হচ্ছে, যুবকের জমা দেওয়া কাটা হাত ও পা ওই মহিলারই।
আরও পড়ুন: মাথার বাইরে মগজ! দিব্যি রয়েছে এই ৭ মাসের শিশু
ইস্টকোর্ট ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দাঁড়িয়ে নরমাংস খাওয়ার কথা স্বীকারও করে নিয়েছে ওই চার জন। একাধিক খুন করে নরমাংস খাওয়ার অপরাধে খয়াজুলু-নাতাল এলাকা থেকে সোমবার গ্রেফতার করা হয়েছে ওই চার যুবককে। অভিযোগ, দীর্ঘ দিন ধরেই নরমাংস খাওয়ার এই রেওয়াজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন ওই চার যুবক। পুলিশের ওই মুখপাত্র বলেন, “মনে হচ্ছে নরমাংস খাওয়ার জন্যই এই খুন করা হয়েছিল। তবে এর সঙ্গে আরও অনেকে যুক্ত আছে বলেই আমাদের ধারণা। সম্ভবত এরা মানব অঙ্গের অবৈধ ব্যবসাও করত। ধৃতদের ঘর থেকে নরমাংসের খোঁজও পাওয়া গিয়েছে।”
আরও পড়ুন: মোকোমোকাই! ট্যাটু আঁকা মৃত মানুষের মাথা সংগ্রহের ‘হবি’
যদিও দক্ষিণ অফ্রিকায় নরমাংস খাওয়ার ঘটনা অবশ্য একেবারে বিরল নয়। মাঝেমধ্যেই ওঠে এমন অভিযোগ। তবে নিজে থেকে এই ভাবে ‘প্রমাণ-সহ’ পুলিশের কাছে এসে ধরা দেওয়ার ঘটনা এই প্রথম।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy