প্রীত ভারারা
এ বার গা-জোয়ারির অভিযোগ।
ইস্তফা দিতে রাজি না হওয়ায় ভারতীয় বংশোদ্ভূত অ্যাটর্নি প্রীত ভারারাকে শেষমেশ বরখাস্তই করল ট্রাম্প প্রশাসন।
প্রথম ফোনটা এসেছিল শুক্রবার। ভারারা-সহ দেশের মোট ৪৬ জন অ্যাটর্নিকে একযোগে ইস্তফা দিতে বলেছিলেন মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল জেফ সেশন্স। কিন্তু প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যে নিজে তাঁকে কাজ চালিয়ে যাওয়ার কথা বলেছিলেন! ফোনটা পেয়ে তাই প্রথমটায় খানিক হকচকিয়ে গিয়েছিলেন দেশের অন্যতম সেরা ফেডেরাল কৌঁসুলি ভারারা। পরে বেঁকে বসেন। সাফ বলে দেন, ইস্তফা দেবেন না কিছুতেই। আর ঠিক সেই কারণেই শনিবার তাঁকে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে জানান ভারারা।
মার্কিন জাস্টিস ডিপার্টমেন্টের দাবি, সার্বিক ক্ষমতা হস্তান্তরের স্বার্থেই এমন সিদ্ধান্ত। আবার হোয়াইট হাউসের একটি সূত্র বলছে, ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ দুই সহযোগী স্টিফেন ব্যানন এবং জেফ সেশন্স পুরনোদের মধ্যে কাউকেই চাইছেন না নয়া প্রশাসনে। অ্যাটর্নিরা যে হেতু রাজনৈতিক ভাবে নিযুক্ত হন, তাই প্রশাসন বদলের পরে তাঁদের পদত্যাগ করাটাই দস্তুর। সেই মোতাবেক ৯৩-এর মধ্যে দেশের ৪৭ জন অ্যাটর্নি পদত্যাগ করেছিলেন আগেই। তবু ভারারাকে বরখাস্ত করা নিয়ে বিতর্ক থামছে না। প্রথমত, তিনি দেশের অন্যতম ‘হাই প্রোফাইল’ আইনজীবী, রীতিমতো নামজাদা। তার উপর আবার ট্রাম্পেরও পছন্দের লোক। তাই প্রশ্ন উঠছে, ভারারাকে নিয়ে হোয়াইট হাউসের যে অন্য পরিকল্পনা থাকতে পারে, সেটা কি ব্যানন-সেশন্স জানতেন না? নাকি, প্রীত ভারারাকে সরানোর মতো ‘অপ্রীতিকর’ কাজটা আড়াল থেকে সারলেন প্রেসিডেন্ট নিজেই— উত্তর খুঁজছেন দুঁদে অ্যাটর্নিও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy