Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

উত্তর কোরিয়া প্রশ্নে দ্বিমত আমেরিকা, চিন

বেজিংয়ের সঙ্গে সুর মিলিয়েছে মস্কোও। তারা বলছে, আপাতত বিষয়টি আপসের পথে যাওয়াই শ্রেয়। আমেরিকা এ নিয়ে কোনও রকম আলোচনার প্রসঙ্গে ইতিবাচক সাড়া দেয়নি। বরং পাল্টা শক্তি জাহির করে মিত্র দেশ দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে মিলে বুধবার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে মহড়া শুরু করেছে মার্কিন প্রশাসন।

সংবাদ সংস্থা
ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ০৬ জুলাই ২০১৭ ০২:৪১
Share: Save:

এক দেশের শক্তি প্রদর্শন বিভাজন তৈরি করে দিয়েছে অন্য বড় দুই শক্তির মধ্যে। মঙ্গলবার দূর পাল্লার আন্তর্মহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র ছু়ড়ে গোটা বিশ্বেই চিন্তা বাড়িয়েছে উত্তর কোরিয়া। আর তাদের এই পরীক্ষা নিয়ে অবস্থান বদলে গিয়েছে আমেরিকা এবং চিনের।

বেজিংয়ের সঙ্গে সুর মিলিয়েছে মস্কোও। তারা বলছে, আপাতত বিষয়টি আপসের পথে যাওয়াই শ্রেয়। আমেরিকা এ নিয়ে কোনও রকম আলোচনার প্রসঙ্গে ইতিবাচক সাড়া দেয়নি। বরং পাল্টা শক্তি জাহির করে মিত্র দেশ দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে মিলে বুধবার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে মহড়া শুরু করেছে মার্কিন প্রশাসন।

আরও পড়ুন: ভারতীয় সেনাকে তাড়িয়ে ছাড়ব, হুমকি ড্রাগনের

উত্তর কোরিয়ার দাবি অনুযায়ী, তাদের তৈরি আন্তর্মহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র (আইসিবিএম) আমেরিকার মূল ভূখণ্ডে আঘাত করতে সক্ষম। এই তথ্য জানার পরে চুপ থাকেনি আমেরিকা। যদিও রাশিয়া এবং চিন যৌথ সাংবাদিক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘উত্তর কোরিয়া ক্ষেপণাস্ত্র এবং পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা বন্ধ করুক। আর আমেরিকা এবং দক্ষিণ কোরিয়া তাদের ভবিষ্যতের সব যৌথ সেনা মহড়া বন্ধ করুক।’ কিন্তু ওই বিবৃতি জারির কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই আমেরিকা এবং দক্ষিণ কোরিয়া ঘোষণা করে, উত্তর কোরিয়াকে বার্তা দিতে এবং তাদের অনৈতিক কাজ বন্ধ করতে তারা যৌথ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র মহড়া চালিয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের দাবি, ‘জরুরি অবস্থায় যাতে প্রস্তুত থাকা যায়, তার জন্যই এই মহড়া।’

অথচ মঙ্গলবার চিনা প্রেসিডেন্ট শি চিনফিং এবং রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের দেখা হয় মস্কোয়। পুতিন বলেন, কোরীয় দ্বীপপুঞ্জে শান্তি এবং স্থিতিশীলতা রাখা দরকার। তাঁর কথায়, ‘‘কোরীয় সমস্যা দূর করতে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া বন্ধ করা দরকার। দক্ষিণ কোরিয়ায় মার্কিন অস্ত্র মোতায়েনের নিয়েও ভাবা দরকার।’’

পরমাণু অস্ত্ররোধ নিয়ে কর্মরত একটি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি জো সিরিনসিওনের দাবি, সরকারি ভাবে না হলেও উত্তর কোরিয়ার কিছু অফিসার অস্ত্র প্রকল্প বন্ধ রাখা নিয়ে বৈঠকে রাজি ছিলেন। তাঁদেরও শর্ত ছিল, আমেরিকা এবং দক্ষিণ কোরিয়ার অস্ত্র-পরীক্ষা বন্ধ রাখলে তবেই কথা এগোবে। ১৯৫০ সালের কোরীয় যুদ্ধে লড়ার সময় থেকে আমেরিকার সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার মৈত্রীর শুরু। রাশিয়া, চিনের মতো দেশ উত্তর কোরিয়ার পাশে রয়েছে। গত মে মাস থেকেই মার্কিন চোখরাঙানি বন্ধে সরব রয়েছে তারা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE