গুলির জবাব গুলিতেই। বড় ছেলে আগেই নিহত হয়েছিল আল কায়দার হাতে। এ বার আইএসের শিকার ছোট ছেলে। ভরসা নেই রাষ্ট্রের উপর। তাই প্রতিশোধ নিতে বাবা নিজেই হাতে তুলে নিলেন বন্দুক। অনভ্যস্ত হাতেই খতম করলেন ৭ ইসলামিক স্টেট (আইএস) জঙ্গিকে। শেষমেশ অবশ্য নিজেও মরলেন জঙ্গিদেরই গুলিতে।
ইরাকের তিকরিত শহরের রবিবারের ঘটনা। রাজধানী বাগদাদের উত্তর-পশ্চিমের এই শহর আপাতত আইএসেরই দখলে। স্থানীয় সূত্রের খবর, বাসিল রামদান (৬০) নামের ওই ব্যক্তি সে দিন আটঘাট বেঁধেই একে ৪৭ হাতে অপেক্ষা করছিলেন শহরের একটি গুরুত্বপূর্ণ চেকপয়েন্টে। জঙ্গিদের একটি দল কাছাকাছি আসতেই শুরু করেন গুলিবৃষ্টি। কিছু বুঝে ওঠার আগেই খতম হয় ৭ জঙ্গি। পরে সংঘর্ষে নিহত হন রামদানও।
সম্প্রতি আইএসের হাতে মৃত্যু হয় রামদানের বছর আঠারোর ছেলে আহমেদ বাসিলের। চর সন্দেহে আট জনকে এক জায়গায় দাঁড় করিয়ে মারে জঙ্গিরা। জানুয়ারিতেই সেই ভিডিও প্রকাশ করে আইএস। ছেলের মৃত্যুর খবর সেই ভিডিও থেকেই জানতে পারেন বাবা। মেরে ফেলার আগে আহমেদকে দিয়ে ইরাকের সরকারকে কড়া বার্তা দেওয়া হয়। প্রাথমিক ভাবে ভেঙে পড়লেও, রামদান তখন থেকেই পাল্টা হামলার ছক কষছিলেন বলে জানান স্থানীয়রা।
জঙ্গিদের হাতেই ২০০৭-এ নিজের বড় ছেলেকে খুইয়েছেন। সে বার অভিযোগের আঙুল ওঠে আল কায়দার বিরুদ্ধে। তার পর পেরিয়ে গিয়েছে সাত বছর। গত দু’ বছর আড়েবহরে বেড়েছে আইএস। তাদের উচিত শিক্ষা দিতেই রামদানের এই পদক্ষেপ বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।
আইএসের প্রভাব অবশ্য ইরাকের পাশাপাশি একই রকম বহাল সিরিয়াতেও। আজ ফের একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে জঙ্গিরা। তাতে বছর পঞ্চাশের এক প্রৌঢ়কে সমকামী হওয়ার ‘অপরাধে’ প্রথমে বহুতল থেকে চেয়ার-সহ ছুড়ে ফেলে পরে পাথর দিয়ে থেঁতলে মারে জঙ্গিরা। সিরিয়ার এক মানবাধিকার সংগঠনের তরফে এমনটাই অভিযোগ। নিজস্ব আইন প্রতিষ্ঠায় গত মাসেও একই অভিযোগ ওঠে আইএসের বিরুদ্ধে। সে বার দু’জনকে ছুড়ে ফেলা হয় বহুতল থেকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy