অনুশীলন ম্যাচ শুরু হতেই গোল মেশিন তাঁর কাজ শুরু করে দিলেন।
র্যান্টি মার্টিন্সের চার-গোলের আলোর মধ্যেই লাল-হলুদ জার্সিতে হঠাৎ নতুন এক চমক হাজিরটি এফ এ থেকে আসা মানস সরকার। র্যান্টির পাশে খেলে শনিবারই দু’গোল করে ফেললেন গড়িয়ার ছেলে। “ইস্টবেঙ্গলের মতো ক্লাবে সুযোগ পাওয়া খুব কঠিন হবে। কিন্তু যে সুযোগটাই পাব সেটাই কাজে লাগাতে হবে আমাকে। গোল করে যেতে হবে।”
আর্মান্দো কোলাসোর দলের সঙ্গে এ দিন খেলা ছিল সি এফ সি-র। কলকাতা লিগের দ্বিতীয় ডিভিশনের ক্লাবটির বিরুদ্ধে ইস্টবেঙ্গল জিতল ৯-১ গোলে। হোক না, নীচের ডিভিশনের দল। প্রথম সুযোগেই কিন্তু চমকে দিলেন প্রায় ছয় ফুট উচ্চতার এই স্ট্রাইকার। বলে দিলেন, “যখন ইস্টবেঙ্গলে সই করেছিলাম তখন জানতাম র্যান্টির পাশে খেলার জন্য লড়াই করতে হবে। প্রথম দলে সুযোগ পাওয়াটাও খুব কঠিন। সে জন্য যা করার করব।” নাইজিরীয় গোলমেশিনের থেকে নিয়মিত টিপস নিচ্ছেন মানস। অনুশীলন ম্যাচের পর বলছিলেন, “র্যান্টি সব ক্ষেত্রেই খুব সাহায্য করছে। সব সময় আমার ভুল ধরিয়ে দিচ্ছে। ভাল খেললেও প্রশংসা করে। আজ যেমন ম্যাচের পর বলল আমার খেলা ওর খুব ভাল লেগেছে।”
বছর কুড়ির মানস গড়িয়ার মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে। পুণে, ডেম্পোর মতো ক্লাব থেকে প্রস্তাব পেলেও ইস্টবেঙ্গলে সই করার সিদ্ধান্ত নেন যাতে পরিবারের কাছে থাকতে পারেন। “পরিবারের সদস্যদের কাছে থাকতে চেয়েছিলাম। সে জন্যই ইস্টবেঙ্গলই ছিল প্রথম পছন্দ। অন্য ক্লাবের প্রস্তাবে তাই সাড়া দিইনি।” র্যান্টি (৪), মানস (২) ছাড়াও এ দিন গোল করেন মেহতাব হোসেন, রফিক এবং একটি গোল হয় আত্মঘাতী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy