উদ্বিগ্ন: লিগে দু’নম্বরে থাকলেও স্বস্তিতে নেই মর্গ্যান। নিজস্ব চিত্র
সবুজ গ্যালারিতে সহকারী কোচ ওয়ারেন হ্যাকেটের সঙ্গে নোটবুক হাতে বসেছিলেন। কিন্তু ইস্টবেঙ্গল লেফট ব্যাট রবার্ট ট্যাকলে দেরি করতেই প্রায় আর্তনাদ করে উঠলেন লাল-হলুদ শিবিরের কোচ ট্রেভর জেমস মর্গ্যান, ‘‘হচ্ছেটা কী!’’
শনিবারের সকাল। ইস্টবেঙ্গল অ্যাকাডেমির অনূর্ধ্ব-১৮ টিমের সঙ্গে প্রস্তুতি ম্যাচ চলছিল মেহতাবদের। অ্যাকাডেমির ছেলেদের বিরুদ্ধে তিন অর্ধে তিরিশ মিনিট করে এ দিন অনুশীলন ম্যাচ খেললেন অর্ণব মণ্ডলরা। সহকারী হ্যাকেটকে নিয়ে গ্যালারিতে বসে ম্যাচ দেখার সময় এ ভাবেই মর্গ্যানকে বিরক্তি প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছে একাধিক বার। প্রথমার্ধ ০-০ থাকলেও দ্বিতীয়ার্ধেই ০-১ পিছিয়ে পড়েন অর্ণবরা। অন্তিম অর্ধে রোমিও ফার্নান্ডেজ গোল শোধ করলেও কিছু পরেই ফের পিছিয়ে গিয়েছিল মর্গ্যানের দল। লাল-হলুদের খুদেদের সামনে নিজের রক্ষণের অবস্থা দেখে রীতিমতো অস্বস্তিতে ইস্টবেঙ্গল কোচ। যে ম্যাচে ১-২ পিছিয়ে থেকে শেষ মুহূর্তে হাওকিপের গোলে ২-২ করলেন মেহতাব হোসেনরা।
এ দিনও দুই স্টপার গুরবিন্দর ও রাহুল ভেকের বোঝাপড়ার ভুলে গোল হজম করল ইস্টবেঙ্গল। মাঝমাঠে বল পা থেকে বেরিয়ে গেলে দাঁড়িয়ে পড়লেন অবিনাশ রুইদাস। আক্রমণ ভাগে রবিন সিংহ, রফিকদের ‘ডায়াগোন্যাল রান’ নেই। ফলে গোলের জন্য ফাঁকা জায়গা যেমন তৈরি হল না। গোলের সামনে গিয়ে খেই হারিয়ে ফেলা। যা দেখে রীতিমতো বিরক্ত ইস্টবেঙ্গল কোচ। সূত্রের খবর, ম্যাচের পর ফুটবলারদের একপ্রস্ত বকাঝকাও করেছেন তিনি।
মর্গ্যান চিন্তিত তাঁর বিদেশিদের নিয়েও। ক্রিস্টোফার পেইন এবং ওয়েডসন চোটমুক্ত নন। দ্বিতীয় জনকে ডার্বি ম্যাচে পাওয়া যাবে কি না তা নিয়েও অনিশ্চয়তা। বুকেনিয়াও দেশ থেকে ফেরেননি। উইলিস প্লাজাও গত মঙ্গলবার বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের ম্যাচ খেলার পর কেন এত দিন ফিরলেন না তা নিয়েও নাকি প্রশ্ন তুলেছেন ইস্টবেঙ্গল কোচ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy