মডেল: ডিম্পল আচার্য
আশি-নব্বইয়ের দশকের ডিস্কো সং মানেই চকচকে ঝলমলে পোশাকের ঝাপটা আর রক মিউজ়িক। সেই ঝাপটায় চোখ আটকে যেত যেখানে, সেই কুচি কুচি গ্লিটারের চমক কিন্তু ফ্যাশনে এখনও ফ্রন্ট সিটে। আরবি ‘সিক্কা’ বা ইতালিয়ান ‘জ়েক্কিনো’ শব্দ থেকেই উদ্ভব এই ‘সিকুইন’ শব্দের। নামেই বোঝা যায় এর দর কত! কারণ গোড়া থেকেই এর সঙ্গে দামের যোগাযোগ। নামেও, কাজেও। সিন্ধু সভ্যতার যুগেও এই সিকুইন পোশাকের বর্ণনা পাওয়া যায়। তখন সোনা, রুপো ইত্যাদি ধাতু ব্যবহার করা হত সিকুইন তৈরি করতে। অনেক সময়ে কাপড়ে তৎকালীন মুদ্রা সেলাই করেও তৈরি হত পোশাক। তবে তা সাধারণের আয়ত্তে ছিল না। সোনার সিকুইন বা রুপোর সিকুইনের উপরে রাজ পরিবার বা বিত্তবানদেরই একচেটিয়া অধিকার ছিল, যা আভিজাত্য তুলে ধরত পরিধানে। সেই সভ্যতার সঙ্গে সঙ্গে ধাতব সিকুইনের ফ্যাশনও বিদায় নেয়।
তবে এ যুগেও সিকুইনের ব্যবহার খুব নতুন নয়। ১৯০৭ সালের ‘সোয়ান লেক’ ছবিতে সিকুইন বসানো পোশাকে দর্শকদের চমকে দেন অ্যানা পাভলোভা। সেই সময়ে জিলাটিন সিকুইন ব্যবহার করা হত। কিন্তু তা-ও বেশি দিন চলল না, কারণ তা উচ্চ তাপমাত্রায় গলে যেত। ফলে ফ্যাশনে এল প্লাস্টিক সিকুইন। তাতে মেশানো হল লাল, নীল, সবুজ রং। তবে সিকুইনেরও অনেক ভাগ আছে।
গ্লসি সিকুইন: খুবই চকচকে। লাল, নীল, সবুজ বিভিন্ন রঙের, এমনকি রামধনু রঙের এই সিকুইন বেশ উজ্জ্বল। তবে এই ধরনের সিকুইন দিনে না নিয়ে, রাতের পার্টিতে বেছে নেওয়াই ভাল (রুপোলি-কালো ব্যাগের ছবি)।
ম্যাট সিকুইন: সাধারণত মেটালের হয়। প্লাস্টিকের হলেও এই সিকুইন ঝলমল করে না। কিন্তু এর উজ্জ্বল উপস্থিতি চোখের জন্য বেশ আরামদায়ক। সকালের অনুষ্ঠানেও নির্দ্বিধায় পরে ফেলতে পারেন ম্যাট সিকুইন(নীল পোশাকের ছবি)।
সেল্ফ কালার্ড সিকুইন: নীল পোশাকে নীল অথবা সাদা পোশাকে সাদা সিকুইন ব্যবহার করা যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে সিকুইন আলাদা করে খুব ফুটে উঠবে না। তবে নড়াচড়া করলে আকাশে নক্ষত্ররাজির মতোই হেসে উঠবে সিকুইনদল (ক্রিম রঙের পোশাকের ছবি)।
মনে রাখতে হবে, সিকুইনড পোশাক বেশ উজ্জ্বল। তাই সাজ হতে হবে নিয়ন্ত্রিত।
ছবি: দেবর্ষি সরকার মেকআপ: অভিজিৎ পাল পোশাক: শপার্স স্টপ, সাউথ সিটি মল; ব্যাগ: সিমায়া, ট্রায়াঙ্গুলার পার্ক
গয়না: ভেরো মোদা, সাউথ সিটি মল; লোকেশন: দ্য ললিত গ্রেট ইস্টার্ন, কলকাতা
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy