বাহুতে আঁকা ট্যাটুতে দেখা যাচ্ছে ১৯২ নম্বর রুটের বাসের একটি ছবি। ছবি: সংগৃহীত।
স্কুল, কলেজের পর কর্মজীবনই কোনও মানুষের জীবনে সবচেয়ে দীর্ঘ সময়। কারও ক্ষেত্রে ২০ বছর, কারও ক্ষেত্রে ৩০ বছর, এই পুরো সময়টা জুড়ে ওই ব্যক্তি প্রতিদিন একই রাস্তা, একই মানুষ, একই যানবাহনে যাওয়া-আসা করেন। যাতায়াতের পথে প্রতিদিন ছোটখাটো কত স্মৃতিই না জমা হতে থাকে। কেউ আবার সেই পথেই খুঁজে পেয়ে যান জীবনসঙ্গী।
যেমন হয়েছে ম্যাঞ্চেস্টারের বাসিন্দা, বছর ২৫-এর তরুণী ইলিয়ট কভিনের। প্রতিদিন যে বাসে করে তিনি কাজে যেতেন, সেই বাসের প্রতি ভালবাসা থেকেই হুবহু সেই ছবিই বাহুতে ‘ট্যাটু’ করিয়ে ফেলেছেন।
সংবাদমাধ্যমকে ইলিয়ট জানিয়েছেন, বাসের প্রতি তাঁর ভালবাসা তিনি গোটা পৃথিবীকে দেখাতে চান। বাহুতে আঁকা ট্যাটুতে দেখা যাচ্ছে ১৯২ নম্বর রুটের বাসের একটি ছবি। যে বাসে করেই তিনি প্রতিদিন কাজে যেতেন। কিন্তু তার চেয়েও বেশি স্মরণীয় ঘটনা ঘটে যায় ইলিয়টের জীবনে। এই পথেই তিনি খুঁজে পান তাঁর জীবনসঙ্গী উইল স্যানডার্সকে।
ইলিয়ট বলেন, “টানা পাঁচটি বসন্ত আমি এবং আমার সঙ্গী একসঙ্গে যাতায়াত করেছি এই রাস্তায়।” তিনি জানান, এই ছবিটি তাঁর হাতে ফুটিয়ে তুলেছেন ট্যাটু শিল্পী মাইসি। একটু অন্য রকম ট্যাটু করাতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু এই ছবিটা আঁকার ভাবনা পুরোপুরি মাইসিরই বলে জানান তিনি।
যদিও এই ছবিটি দেখলে চট করে কেউই ধরতে পারবেন না এর বিশেষত্ব। হয়তো কারও কাছে এই ট্যাটুটি শুধু মাত্রই একটি বাসের ছবি। কিন্তু স্মৃতি রোমন্থনের এই অভাবনীয় পদ্ধতি দেখে মুগ্ধ হয়েছেন অনেকেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy