বাড়িতে বসে চুল রং করলেও সতর্ক থাকা জরুরি। ছবি: সংগৃহীত।
পুজো আসছে। এখনও বেশ কয়েক দিন বাকি থাকলেও অনেকেই প্রস্তুতি নিতে শুরু করে দিয়েছেন। বিশেষ করে চুলের ছাঁট, স্ট্রেটনিং, কেরাটিন করানোর হলে আগে থেকেই করিয়ে নেওয়া জরুরি। এই সময় অনেকেই চুলে রং করান। লাল, বাদামি কিংবা আকাশি চুলের ভিড়ে অনেক সময় চোখে ধাঁধা লেগে যায়। কেউ কেউ আবার হাইলাইটও করান। তবে সালোঁয় গিয়ে চুল রং করানো বেশ খরচসাপেক্ষ। পছন্দসই সব রং বাজারেই কিনতে পাওয়া যায়। সেগুলি কিনে নিজেই বাড়িতে চুল রঙিন করে তুলতে পারেন। তবে বাড়িতে চুল রং করার আগে কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে। কারণ শুধু রং করলেই তো হবে না, চুলও ভাল রাখাও জরুরি।
১) দোকান থেকে ‘হেয়ার কালার’ কেনার আগে দেখে নিন, তাতে অ্যামোনিয়া রয়েছে কি না। অ্যামোনিয়া থাকলে সেই রং ব্যবহার না করাই ভাল। অ্যামোনিয়া চুলের জন্য ভাল নয়। তা ছাড়া অ্যামোনিয়া থাকলে রং থেকে একটা ঝাঁঝালো গন্ধ বেরোয়, যা চোখ জ্বালার কারণ হতে পারে।
২) সম্প্রতি কেরাটিন কিংবা স্ট্রেটনিং করিয়েছেন। তা হলে এখনই চুলে রং না করাই ভাল। অন্তত মাসখানেক পরে রং করানো যেতে পারে। স্ট্রেটনিং, স্মুদনিং করানোর পর পরই রং করলে চুল ঝরার আশঙ্কা থাকে। কারণ দু’ক্ষেত্রেই রাসায়নিক উপকরণ ব্যবহৃত হয়। কিছু দিন অপেক্ষা করার পর রং করানো যেতে পারে।
৩) রং করার পর ভুলেও গরম জল দিয়ে চুল ধোবেন না। এতে চুলের কেরাটিন নষ্ট হয়ে যেতে পারে। ঠান্ডা জলেই চুল ধুয়ে নিন। তাতে কোনও ক্ষতি নেই।
৪) চুলে রং করার পর স্ট্রেটনার, হেয়ার ড্রায়ার বেশি ব্যবহার করবেন না। রঙে থাকা রাসায়নিক উপাদান এমনিতেই চুলের ক্ষতি করে। তার উপর এ ধরনের যন্ত্র ব্যবহার করলে চুল অল্প দিনেই ঝরে যাবে।
৫) চুলে রং করার অন্তত দু’দিন পর জল দিয়ে ধোয়া উচিত। এতে চুলে রং বসে যাওয়ার সুযোগ পাবে। তা ছাড়া না ধুলে সিবামের মাত্রা বেড়ে যায়, চুলের রং ফিকে হতে পারে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy