যে পরিমাণ চুল ঝরে পড়ছে, সেই অনুপাতে আবার নতুন চুল তৈরি না হলে চুলের ঘনত্ব কমতে থাকে। ছবি- প্রতীকী
মানবদেহে সৌন্দর্যের অন্যতম আকর্ষণ হল মাথার চুল। পরিসংখ্যান বলছে, প্রতি দশ জনের মধ্যে আট জনই চুল পড়ার সমস্যায় ভোগেন। চুল পড়ার প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ নানাবিধ কারণ থাকলেও চুল পড়া কিন্তু একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া, কারণ প্রতিটি চুলেরই নির্দিষ্ট আয়ুষ্কাল থাকে। নতুন চুল গজানো থেকে চুল ঝরে পড়া পর্যন্ত একটি চক্র। এই আবর্তন সম্পূর্ণ হলেই চুল ঝরে পড়বে। কিন্তু সমস্যা হল চুল পড়া এবং চুল গজানোর ভারসাম্য বিঘ্নিত হওয়া। অর্থাৎ চুল ঝরার পাশাপাশি নতুন চুল গজাচ্ছে কি না, সে দিকে নজর দেওয়া জরুরি। যে পরিমাণ চুল ঝরে পড়ছে, সেই অনুপাতে নতুন চুল আবার না তৈরি হলে চুলের ঘনত্ব কমতে থাকে। চুলের পরিচর্যা করতে আমাদের প্রাচীনতম, ভরসাযোগ্য পন্থা হল তেল ব্যবহার করা।
আমাদের দেশের আবহাওয়া অনুযায়ী চুলের জন্য নারকেল তেল ব্যবহার করাই উচিত বলে মনে করেন ত্বক বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু মাথার ত্বকের ধরন এবং চুলের সমস্যা অনুযায়ী সঠিক তেল বেছে নেওয়াও জরুরি। কিন্তু এক তেলেই যদি সব সমস্যার সমাধান করতে হয়, তা হলে শুধু তেল দিলে হবে না। চুল পড়া, খুশকি, চুলের অকালপক্বতা রোধ এবং নতুন চুল গজানোর ক্ষেত্রে কালোজিরের ভূমিকা অনস্বীকার্য।
নারকেল তেল এবং কালোজিরে
রোদে কালোজিরে ভাল করে শুকিয়ে গুঁড়ো করে নিন। হালকা গরম করে নারকেল তেলের সঙ্গে মিশিয়ে লাগিয়ে ফেলুন। নারকেল তেলের অ্যান্টি-ফাঙ্গাল এবং অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল উপাদান মাথার ত্বকের ছত্রাক সংক্রমণ রুখতে সাহায্য করে। কালোজিরে, চুলের ফলিকল মজবুত করে। অকালে ঝরে যাওয়ার আশঙ্কা অনেকটাই কমে যায়।
অলিভ অয়েল এবং কালোজিরে
নারকেল তেলের মতোই কার্যকারিতা। তবে স্পর্শকাতর ত্বকের একটু বেশি যত্নের প্রয়োজন। তাই কালোজিরের সঙ্গে মিশিয়ে নিন অলিভ অয়েল। হালকা গরম করে, সপ্তাহে তিন দিন ব্যবহার করুন এই তেল। আধ ঘণ্টা রেখে মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy