ভাজাভুজি খেয়েও বেশি তেল যাবে না শরীরে, কী ভাবে সম্ভব? ছবি: শাটারস্টক।
হালকা শীত হোক কিংবা ঝিরঝিরে বৃষ্টি, সন্ধ্যার আড্ডা হোক কিংবা চায়ের সঙ্গে টা— সঙ্গে একটু ভাজাভুজি থাকলে বিষয়টি বেশ ভালই জমে। ফিশ ফ্রাই, ফিশ চপ, শিঙাড়া কিংবা ডিমের ডেভিল খেতে বরাবরই ভালবাসে বাঙালি। তবে কোলেস্টেরল, উচ্চ রক্তচাপ, হার্টের অসুখের চোখরাঙানিতে লোভ হলেও ভাজাভুজি থেকে দূরে থাকেন অনেকেই। তবে তেলেভাজা স্বাস্থ্যকর করার উপায় আছে কি? তেলেভাজাকে কখনই স্বাস্থ্যকর খাবার বলা যায় না। তেলে ভাজা খাবার বেশি খেলে অতিরিক্ত পরিমাণে স্নেহ পদার্থ শরীরে প্রবেশ করে। দোকানে যে ধরনের তেল ব্যবহার করা হয়, তা মোটেই স্বাস্থ্যকর নয়। কিন্তু বাড়িতে ভাজাভুজি করলে কিছু সতর্কতা অবশ্যই মেনে চলা যায়। মাঝেমধ্যে তেলেভাজা খেতে ইচ্ছে করলে ভাজাভুজিতে তেলের ব্যবহার কমানোর উপায় কী?
১) বেগুনি, আলুর চপ যে বেসনের মিশ্রণে ডুবিয়ে ভাজছেন, সেই মিশ্রণটি খুব ঘন হলে কিন্তু বেশি তেল টেনে নেয় ভাজাভুজি। মিশ্রণটি যতটা সম্ভব পাতলা রাখার চেষ্টা করুন।
২) বেগুন ছাড়া অন্য যে কোনও সব্জি, মাংস যদি আধসেদ্ধ করে তার পর ভাজা যায়, তা হলে তেলও কম লাগে, ভাজতে সময়ও কম লাগে।
৩) ছাঁকা তেলে ভাজা খাবার থেকে অতিরিক্ত তেল শুষে নেওয়ার জন্য অনেকেই এখন পেপার টাওয়েল ব্যবহার করেন। বাড়িতে তা না থাকলে বেশ কয়েকটি টিস্যু পেপার একসঙ্গে রেখেও কাজ চালিয়ে নিতে পারেন।
৪) একেবারে অনেকটা তেল কড়াইতে দিয়ে ভাজতে যাবেন না। যেটুকু প্রয়োজন ততটুকু তেল নিয়ে রান্না শুরু করুন। পরে দরকার পড়লে আবার তেল নিতে পারেন। তেল ভাল ভাবে গরম হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। ঠান্ডা তেলে কোনও খাবার ভাজলে তার মধ্যে তেল জমে থাকার মাত্রা বেড়ে যেতে পারে।
৫) আগে ব্যবহার করা তেল বা পোড়া তেল দ্বিতীয় বার ব্যবহার করা যাবে না। পোড়া তেলে ভাজা খাবার খেলে অম্বল, গলা-বুক জ্বালার পরিমাণ বেড়ে যাবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy