সকালে উঠে শরীরচর্চার উপকারিতার কথা জানেন না এমন কেউ নেই। তবে যদি আপনি ওজন কমানোর জন্য শরীরচর্চা করতে চান, তা হলে সকালে উঠে খালি পেটে শরীরচর্চা করুন। গবেষকরা জানাচ্ছেন, খালি পেটে শরীরচর্চা করার ফলে বেশি মেদ ঝরানো সম্ভব হয় ও অ্যাডিপোজ টিস্যুর যে পরিবর্তন ঘটে তা বেশি দিন ধরে ওজন কম রাখতে সাহায্য করে।
এই গবেষণার জন্য ব্রিটেনের বাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা একদল অতিরিক্ত ওজনের পুরুষকে নিয়ে গবেষণা করেন। প্রথমে তাদের খালি পেটে ৬০ মিনিট হাঁটতে বলা হয়, যখন পাকস্থলী ৬০ শতাংশ অক্সিজেনে পূর্ণ থাকে। এর পরের পরীক্ষায় তাদের হাই-ক্যালোরি কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ ব্রেকফাস্ট খাওয়ার দু’ঘণ্টা পর ৬০ মিনিট হাঁটতে বলা হয়। এই দুই ক্ষেত্রেই তাদের অ্যাডিপোজ (ফ্যাট) টিস্যুর উপর প্রভাব পরীক্ষা করে দেখা হয়।
বাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক বলেন ডিলান টমসন, ‘‘খাওয়ার পর অ্যাডিপোজ টিস্যু খাবারের উপর কাজ করতে থাকে। এই সময় এক্সারসাইজ অ্যাডিপোজ টিস্যুর পরিবর্তনের ক্ষেত্রে অতটা কার্যকরী হয় না। কিন্তু খালি পেটে এক্সারসাইজ করলে তার প্রভাব অ্যাডিপোজ টিস্যুর উপর পড়ে। যা স্বাস্থ্যের উপর দীর্ঘকালীন প্রভাব রেখে যায়। নিয়মিত শরীরচর্চার মাধ্যমে মেদ ঝরানো ও ওজন ধরে রাখাই আমাদের উদ্দেশ্য হওয়া উচিত। যেই ফল পেতে খালি পেটে এক্সারসাইজ করা প্রয়োজন।’’
আরও পড়ুন: যারা নিজেকে আঘাত করেন, তারা অন্যদেরও ক্ষতি করতে পারেন, বলছে সমীক্ষা
এই গবেষণার জন্য খাওয়ার পর, খালি পেটে এক্সারসাইজ করার পর ও খেয়ে এক্সারসাইজের পর অংশগ্রহণকারীদের রক্ত পরীক্ষা করেন। সেই সঙ্গেই হাঁটার এক ঘণ্টা আগে ও এক ঘণ্টা পরে অংশগ্রহণকারীদের ফ্যাট টিস্যুর নমুনা সংগ্রহ করে তাও পরীক্ষা করে দেখা হয়। দুই ক্ষেত্রে অ্যাডিপোজ টিস্যুর জিনের উল্লেখযোগ্য পার্থক্য লক্ষ্য করা গিয়েছে। দেখা গিয়েছে, খালি পেটে এক্সারসাইজ করলে অ্যডিপোজ টিস্যুর পিডিকে৪ ও এইচএসএল-এর পরিমাণ বেড়ে যায়। অন্য দিকে, খাওয়ার পর এক্সারসাইজ করলে এই দুইয়ের পরিমাণ কমে যায়। এই পিডিকে৪ বেড়ে যাওয়ার অর্থ হল, এক্সাইসাইজের সময় মেটাবলিজমের জন্য শরীরে সঞ্চিত ফ্যাট ব্যয় হয়েছে। আর কমে যাওয়ার অর্থ হল, খাবার থেকে পাওয়া কার্বোহাইড্রেট এক্সারসাইজের সময় মেটাবলিজমের কাজে ব্যবহৃত হয়েছে। এইসএসএল-এর বাড়া-কমাও ঠিক একই কারণে ঘটে থাকে। টমসন বলেন, ‘‘এই প্রথম অ্যাডিপোজ টিস্যুর উপর খালি পেটে এক্সারসাইজের প্রভাব নিয়ে কোনও গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা হল।’’ মার্কিন জার্নাল সাইকোলজি-এন্ডোক্রিনোলজি অ্যান্ড মেটাবলিজম-এ এই গবেষণার ফল প্রকাশিত হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy