রগরগে খাবারের সঙ্গে কী ধরনের পানীয় নিরাপদ? ছবি: সংগৃহীত।
প্রেম দিবস উপলক্ষে বাইরে খাওয়াদাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। এমনিতে খুব তেল-মশলা দেওয়া খাবার খুব বেশি পরিমাণে খান না। কিন্তু রেস্তরাঁয় খেতে গেলে তো আর সে খেয়াল থাকে না। মোগলাই হোক বা কন্টিনেন্টাল— খাবারের সঙ্গে ঠান্ডা পানীয় চাই-ই চাই। অনেকে আবার এই ধরনের খাবারের সঙ্গে অ্যালকোহলযুক্ত পানীয় খেতেও পছন্দ করেন। তবে অনেকেই হয়তো জানেন না, সব ধরনের খাবারের সঙ্গে মদ খাওয়া পেটের জন্য ভাল নয়। অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার পর ঠান্ডা নরম পানীয় খেলে তৎক্ষণাৎ আরাম মেলে। তবে এই ধরনের পানীয় বেশি খেলেও বিপদ। তা হলে রগরগে খাবারের সঙ্গে কী ধরনের পানীয় নিরাপদ?
১) আইস্ড মিন্ট টি:
রগরগে খেতে খেতে চুমুক দিতেই পারেন আইস্ড মিন্ট টি-র কাপে। অতিরিক্ত খাবার খেয়ে পেটে অস্বস্তি হলে এই পানীয় আরাম দেয়। পুদিনার সঙ্গে লেবুর রসের মিশ্রণ অম্লত্বের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে।
২) হিবিসকাস আইস্ড টি:
জবাফুলের নির্যাস দেওয়া ঠান্ডা চা শুধু মনকেই তরতাজা করে না, পেটফাঁপা, গলা-বুক জ্বালার মতো সমস্যাও বশে রাখে। অনেকেই মনে করেন চা মানেই তা গরম পানীয়। সে কথা ভুল নয়। তবে পেটের স্বস্তির জন্য তা ঠান্ডা করে খাওয়াই ভাল।
৩) ডাবের জল দেওয়া পানীয়:
সরস্বতী পুজোয় অঞ্জলি দেওয়ার জন্য সকাল থেকে উপোস করেছিলেন। তাড়াহুড়োর মধ্যে এমনিতেই সারা দিন জল খাওয়া কম হবে। তার উপর আবার রাতে তেল মশলা দেওয়া খাবার খেলে শরীর ডিহাইড্রেটেড হয়ে পড়তেই পারে। এই সময়ে পানীয় হিসাবে রাখা যেতে পারে ডাবের জল দিয়ে তৈরি কোনও পানীয়। যা শরীরে ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্য বজায় রাখতেও সাহায্য করে।
৪) শসা-লেবুর কুলার:
শসার মধ্যেও জলের পরিমাণ বেশি। তাই শরীরে জলের ঘাটতি পূরণ করতে এই কুলার দারুণ কাজ করে। বিরিয়ানি, কবাব খাওয়ার পর গলা, বুক জ্বালা করলে ওষুধ নয়, খেতে পারেন এই কুলার।
৫) জিঞ্জার-লেমোনেড:
গ্যাস, পেটফাঁপা এবং হজমের সমস্যা লেগেই আছে। এর উপর বাইরে খাওয়াদাওয়া করলে শরীরে অস্বস্তি হতেই পারে। পেটের সমস্যার ঘরোয়া দাওয়াই হিসাবে অনেকেই আদা খেয়ে থাকেন। রেস্তরাঁয় গিয়ে তো আর আদা কুচি খেতে পারবেন না। বদলে রাখতে জিঞ্জার-লেমোনেড।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy