বিপদের দিনে যদি সকলের আগে যে বা যাঁরা পাশে থাকেন, তাঁরা বন্ধু। প্রতীকী ছবি।
‘বন্ধু বিনে নাই যে গতি, কিবা দিবা কিবা রাতি’। ব্যক্তিগত জীবনেই হোক কিংবা কর্মক্ষেত্রে, এমন ছোট-বড় নানা সমস্যার সমাধান করে দিতে পারে এই বন্ধুরাই। এ কথা জানলেও মানতে সমস্যা হয় অনেকের। কারণ, নিজে থেকে কথা বলতে পারেন না। উল্টো দিক থেকে অচেনা কেউ কথা বলতে এলেও অদ্ভুত এক জড়তা কাজ করে। অথচ, সরাসরি রক্তের যোগ না থাকলেও পরিবারের মানুষের পর, বিপদের দিনে যদি সকলের আগে যে বা যাঁরা পাশে থাকেন, তাঁরা বন্ধু। এ ক্ষেত্রে মনোবিদদের মত, বন্ধুত্ব করতে গেলে দু’তরফেরই সহযোগিতা দরকার। তবে নিজের দিক থেকেও ছোট ছোট কিছু বিষয়ে পরিবর্তন আনা জরুরি।
ব্যক্তিগত জীবনে কোন কোন বিষয়ে পরিবর্তন আনা জরুরি?
১) নিজের সমস্যা খুঁজে বের করুন
বন্ধুত্ব করার আগে, সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হল নিজের সমস্যাগুলো খুঁজে বার করা। আপনি কেমন, তা নিয়ে বন্ধুমহলে আলোচনা হলেও তা যেন আপনাকে স্পর্শ করতে না পারে।
২) নিজেকে গুরুত্ব দিন
কে আপনাকে গুরুত্ব দিল, আর কে দিল না, সে বিষয়ে মাথা ঘামানোর কোনও প্রয়োজনই পড়বে না, যে দিন থেকে আপনি নিজেকে গুরুত্ব দেওয়া শুরু করবেন। নিজের উপর বিশ্বাস রাখুন এবং আপনার ব্যক্তিত্বের আলোয় আলোকিত করে তুলুন চারিদিক।
৩) নিজের সমালোচনা করা বন্ধ করুন
নতুন কোনও মানুষের সঙ্গে প্রথম বার কথা বলতে অস্বস্তি হয় অনেকেরই। কারণ, তাঁরা নিজেদের দোষ-গুণ নিয়ে অনেক বেশি চিন্তিত। কখনও কখনও বন্ধু হিসেবে নিজেকে অযোগ্যও মনে করেন তাঁরা। এই অভ্যাস মানসিক স্বাস্থ্যেরও ক্ষতি করে।
৪) নেতিবাচক চিন্তা নয়
নিজেকে নিয়ে নেতিবাচক চিন্তাভাবনা বন্ধ করে দিন। সকালে ঘুম থেকে উঠে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে ইতিবাচক চিন্তা দিয়ে দিন শুরু করুন। আপনার কথা বলতে সমস্যা হয়, এই ভয় মন থেকে তাড়িয়ে দিন।
৫) সমাজমাধ্যমে পাওয়া বন্ধুদের বিশ্বাস করবেন না
বন্ধুত্বের প্রয়োজন অবশ্যই আছে। তবে সমাজমাধ্যমে পাওয়া বন্ধুদের কতটা বিশ্বাস করা যায়, তা একমাত্র আপনিই বুঝতে পারবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy