বিরাট কোহলি। ছবি: সংগৃহীত।
দেশের সফলতম টেস্ট অধিনায়ক। এক দিনের ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি রানের তালিকায় ভারতীয়দের মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে। তিনি বিরাট কোহলি। বাইশ গজে তিনি ফর্মে থাকুন কিংবা না থাকুন, বিরাট চর্চায় থাকেন সব সময়ে। বিশ্বকাপ ছিনিয়ে নেওয়ার লড়াইয়ে নেমেছে ভারত। রবিবার, প্রথম দিনেই অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ব্যাট করতে নেমে রেকর্ড গড়েছেন বিরাট। চেন্নাইয়ের মাঠে প্রথমে ব্যাট করে অস্ট্রেলিয়া। ১৯৯ রান করে। সেই রান তাড়া করতে নেমে ভারত ২ রানে ৩ উইকেট হারায়। তবে শেষ পর্যন্ত বিরাটই দলের ভরসা হয়ে দাঁড়ান। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ভারতকে জেতানোর যে বিধ্বংসী ইনিংসটি তিনি খেলেছেন, তা দেখে উচ্ছ্বসিত তাঁর ভক্তরা।
রবিবারের ম্যাচে বিরাটকে শিল্পী নয়, কর্মী মনে হয়েছে বেশি। ফর্মে ফেরার পিছনে অধ্যবসায় যেমন ছিল, তেমন ছিল শরীরচর্চা এবং ডায়েটের কঠিন বেড়াজালও। বিরাটের ফিটনেস নিয়ে বলা বাহুল্য। ভারতীয় ক্রিকেট খেলোয়াড়দের মধ্যে বিরাটের শারীরিক ফিটনেস অন্যতম চর্চার বিষয়। সে কারণেই বোধ হয় খেলতে গিয়ে কোনও চোট পেলেও দ্রুত মাঠে ফেরেন তিনি। বিরাটের ফিটনেস রুটিনে শরীরচর্চা একটা বড় অংশ জুড়ে থাকে তো বটেই। পাশাপাশি, তিনি জোর দেন খাওয়াদাওয়াতেও। পেশি সবল এবং মজবুত রাখতে ক়ড়া ডায়েট করেন।
কিনোয়া হল বিরাটের অন্যতম পছন্দের খাবার। রোজ সকালে তাই জলখাবারে কিনোয়া খান। নিজেকে ফিট রাখতে কয়েকটি নির্দিষ্ট খাবার খান তিনি। ডাল তার মধ্যে অন্যতম। সব ধরনের ডাল খান বিরাট। ডাল হল প্রোটিনের সমৃদ্ধ উৎস। ডাল ছা়ড়াও আর তিনি নিয়ম করে খান স্যালাডও। গাজর, টোম্যাটো, ব্রকোলি, বাঁধাকপির পাতা এবং আরও নানা স্বাস্থ্যকর সব্জি দিয়ে তৈরি হয় বিরাটের স্যালাড। বিরাটের রোজের খাবারে কোনও প্রক্রিয়াজাত খাবার থাকে না। গ্লুটেনমুক্ত খাবার খান তিনি। যতটা সম্ভব দুগ্ধজাত খাবার এড়িয়ে চলেন বিরাট। চিনির স্বাদ প্রায় ভুলতে বসেছেন। প্রচুর মরসুমি ফল আর জল— বিরাটের প্রধান খাদ্য। এ ছাড়াও নিয়ম করে জিমে যাওয়া, শরীরচর্চা, দৌড়নো তো রয়েছেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy