কোন জল হজম করাবে সহজে?
একে রবিবার, তার উপরে দোল। খাওয়াদাওয়া বেশি হতে বাধ্য। কিন্তু দুপুরের খাবার যদি রাতেও হজম হতে না চায়? সহজ রাস্তা ‘স্পার্কলিং ওয়াটার’ কিংবা ‘সোডা ওয়াটার’ পান করা। খুব সহজেই হজম হবে দুপুরের খাবার। আবার রাতের খাবারের প্রস্তুতি।
এমন উৎসবের দিনে খাবার হজম করার জন্যই কদর বেড়ে যায় এই বোতলবন্দি স্পার্কলিং আর সোডা জলের। দুটোকে একই গোত্রে ফেলা হলেও, আসলে দুটো সম্পূর্ণ আলাদা। দুটোর গুণাবলিও আলাদা। এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক, কোনটা কী।
স্পার্কলিং জল
ছিপি খুললেই হুড়হুড় করে বুদবুদ বেরিয়ে আসা এই জল হালে ভারতে খুবই জনপ্রিয় হয়েছে। এতে প্রাকৃতিক কারণেই কার্বন ডাই আক্সাইড জমা থাকে। সামান্য ঝাঁকুনিতেই অবশ্য সেই দ্রবীভূত গ্যাস বুদবুদ আকারে বেরিয়ে আসে। এই ধরনের জল হজমে খুবই সাহায্য করে।
এতে ক্যালসিয়াম, সোডিয়াম, ম্যাগনেসিয়ামের মতো খনিজ মিশে থাকে। এই ধরনের খনিজ শরীরের নানা উপকারে লাগে। বোতলবন্দি সোডা-জলের থেকে এর দাম কিছুটা বেশি।
সোডা জল
এটির ছিপি খুললেও স্পার্কলিং জলের মতোই হুড়হুড় করে বুদবুদ বেরিয়ে আসে। কিন্তু স্পার্কলিং জলের সঙ্গে এ প্রধান পার্থক্য, এটিতে থাকা কার্বন ডাই অক্সাইড প্রাকৃতিক উপায়ে সঞ্চিত নয়। কারখানায় জলের মধ্যে কার্বন ডাই অক্সাইড ঢুকিয়ে তাকে সোডা-জল বানানো হয়।
স্বাদে এবং গন্ধে এটি স্পার্কলিং জলের থেকে কিছুটা আলাদা। এটিও ভারী খাবার হজম করাতে পারে। কিন্তু এতে থাকা পটাসিয়াম সালফেট, সোডিয়াম ক্লোরাইড, ডাইসোডিয়াম ফসফেটের মতো যৌগ শরীরের জন্য বিশেষ ভাল নয়। নির্মাতারা জলে বিশেষ ধরনের গন্ধ আনার জন্য এগুলি মেশান।
দোলের জব্বর খাওয়াদাওয়া হজম করতে সাহায্য করতে পারে এই ২ ধরনের জলই। শুধু কোনটা বেশি ভাল, বুঝে নিতে হবে সেটাই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy