সুতির পোশাকের জেল্লা দীর্ঘ দিন টিকিয়ে রাখবেন কী করে? ছবি: সংগৃহীত।
গরমের দিনে সুতির পোশাক ছাড়া আর কোনও কিছুই যেন পরতে ইচ্ছা করে না। নববর্ষ উদ্যাপন হোক কিংবা কোনও অনুষ্ঠানবাড়িতে নিমন্ত্রণ, সুতির জামাকাপড়েই স্বচ্ছন্দ্য যেন সবচেয়ে বেশি। বাগড়ু, ইন্ডিগো, কলমকারি, বাটিক, বাঁধনি, ইক্কত কিংবা মল কটন, — গরমের ফ্যাশনে বিকল্পের শেষ নেই। তবে সঠিক পরিচর্যার অভাবে শখ করে যে বাঁধনির ওড়নাটি কিনেছেন, তার রং হয়ে যেতে পারে ফ্যাকাশে। প্রিয় একরঙা শার্টটিও হয়ে যেতে পারে জেল্লাহীন। গরমের দিনগুলিতে পোশাকের চাই বাড়তি যত্ন। এই মরসুমে কী ভাবে সুতির পোশাকের ভাবে যত্ন নেবেন? রইল তারই হদিস।
১) সুতির পোশাক ধোয়ার সময়ে বিশেষ সতর্ক থাকতে হবে। তরল সাবানে কাচতে পারলে খুব ভাল। অনেকের অভ্যাস গরম জলে কিছু ক্ষণ জামাকাপড় ডুবিয়ে রেখে তার পর কাচার। সুতির কাপড়ের ক্ষেত্রে এই ভুল করবেন না, রং চটে যেতে পারে। সুতির পোশাক কাচার সময়ে ঠান্ডা জলই ব্যবহার করুন।
২) সুতির কাপড় যদি ওয়াশিং মেশিনে কাচেন, তা হলে সাবানের সঙ্গে এক কাপ ভিনিগার মিশিয়ে নিন। এতে সুতির কাপড়ের ঔজ্জ্বল্য নষ্ট হবে না। জামাকাপড়ে সুগন্ধও আসবে।
৩) চড়া রোদে সুতির কাপড় কখনওই মেলবেন না। এতে জামাকাপড়ের রং ফ্যাকাশে হয়ে যেতে পারে। সুতির কাপড় শুকোতে খুব বেশি সময় লাগে না। তাই জামাকাপড়ের রং টিকিয়ে রাখতে পড়ন্ত রোদে ছায়া আছে এমন জায়গায় কাপড় মেলতে পারেন।
৪) অনেক সুতির কাপড় প্রথম বার কাচার সময়ে রং ছাড়ে। এ ক্ষেত্রে সুতির কাপড় প্রথম বার ধোয়ার সময়ে নুন-জলে কিছু ক্ষণ ডুবিয়ে রাখুন। তার পর সাবান জলে কাচুন। বিশেষ করে হ্যান্ড ব্লক রয়েছে কিংবা প্রাকৃতি রং ব্যবহার করা হয়েছে এমন পোশাকের ক্ষেত্রে এই টোটকা মেনে চলতেই হবে, তাহলেই কাপড়ের রং টিকে থাকবে।
৫) সুতির পোশাক কাচার সময় পোশাকগুলি উল্টো করে তার পর সাবান জলে ধুতে পারলে ভাল। এই নিয়ম মেনে চললে দীর্ঘ দিন টিকে থাকবে জামাকাপড়ের রং।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy