ডিজিটাল ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা বিল, ২০২২-এ খসড়ায় সব লিঙ্গের উদ্দেশেই ‘শি’ আর ‘হার’ শব্দগুলি ব্যবহার করা হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত
ভারতীয় আইন ব্যবস্থায় এই প্রথম ‘শি’ আর ‘হার’ এই সর্বনামগুলি সব লিঙ্গের জন্যই ব্যবহার করা হয়েছে। সাধারণত ইংরেজিতে স্ত্রীলিঙ্গবাচক সর্বনাম হল ‘শি’ বা ‘হার’ আর পুরুষদের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত সর্বনাম ‘হি’ বা ‘হিম’।
ডিজিটাল ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা বিল, ২০২২-এ খসড়ায় সব লিঙ্গের উদ্দেশ্যেই ‘শি’ আর ‘হার’ শব্দগুলি ব্যবহার করা হয়েছে। যোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব এই নয়া আইনের খসড়া প্রকাশ্যে এনেছেন। এই আইন ডেটা প্রক্রিয়া করার প্রয়োজনীয়তাকে ব্যাপক ভাবে স্বীকৃতি দেবে। অশ্বিনী বৈষ্ণব প্রস্তাবিত আইন সম্পর্কে জনসাধারণের মতামত জানতে চেয়ে টুইট করেছেন যে আইন ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষার জন্য ব্যক্তির অধিকারকে ব্যাপক ভাবে স্বীকৃতি দেবে।
অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেছেন,‘‘মোদীজীর প্রথম থেকেই সরকার নারী ক্ষমতায়নের উপর জোর দিয়েছে। এই পদক্ষেপটি সেই উদেশ্যেই নেওয়া হয়েছে। পুরো বিলেই ‘শি’ আর ‘হার’ সর্বনাম ব্যবহার করা হয়েছে। এটি সত্যিই অভিনব উদ্যোগ।’’
এই উদ্যোগটি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘‘বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও’’ কর্মসূচির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ, যা পরিবারগুলিকে তাঁদের শিশুকন্যাদের পড়াশোনা করার জন্য উৎসাহিত করতে নেওয়া হয়েছে।
চার বছরের তর্ক-বিতর্কের পর আগের প্রস্তাবিত ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা বিল ২০১৯, চলতি বছরের ৩ অগস্ট প্রত্যাহার করে নিয়েছিল কেন্দ্র। তখনই জানানো হয়েছিল, নতুন বিলের খসড়া আনা হবে শীঘ্রই।
সেই মতো নাম বদলে আগের বিলের পরিমার্জিত ও পরিবর্ধিত সংস্করণ শুক্রবার নিয়ে এল কেন্দ্র। নয়া বিলের খসড়াটি আগামী মাসের ১৭ তারিখ পর্যন্ত সকলের অবগতির জন্য পাবলিক ডোমেনে রাখা থাকবে। সংশ্লিষ্ট সব পক্ষ এবং যে কেউ-ই এই নিয়ে নিজের মতামত জানাতে পারেন। যা জমা পড়ার পর সব দিক খতিয়ে দেখে, প্রয়োজনে খসড়ায় কিছু অদলবদল করে, তা সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে পেশ করা হবে আলোচনার জন্য।
মন্ত্রীর মতে, নতুন খসড়া বিলে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের বিভিন্ন রকম অনলাইন প্রতারণা থেকে সুরক্ষা দেওয়ায় জোর দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি দেশ জুড়ে সুরক্ষিত ডিজিটাল নেটওয়ার্ক ইকো সিস্টেম কী ভাবে গড়ে তোলা যায়, তার দিশা খোঁজার চেষ্টাও করা হয়েছে। মন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, গ্রাহক তথ্যের গোপনীয়তা রক্ষায় দেশের সুপ্রিম কোর্ট ও অন্যান্য আদালত যে সব নির্দেশিকা জারি করেছে, তা মাথায় রেখেই খসড়াটি প্রস্তুত করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy