ছাতু দিয়ে তৈরি তিন পদ। ছবি: সংগৃহীত।
সকালে জিমে গিয়ে কসরত করেই ছুটে অফিস চলে যেতে হয়। হাতে খুব বেশি সময় থাকে না। এই গরমে বেশির ভাগ সময়েই ছাতুর শরবত খেয়েই কাজ চালিয়ে দেন। কোনও দিন ছাতুর সঙ্গে নুন, চিনি, কয়েক ফোঁটা পাতিলেবুর রস দেন। আবার ছাতুর সঙ্গে সামান্য পেঁয়াজ, লঙ্কা কুচি, জিরে গুঁড়ো দিয়ে খেতেও মন্দ লাগে না। গরমে শরীর ঠান্ডা থাকে। পেটও ভরে। আবার, তৈরি করতে খুব বেশি সময়ও লাগে না। কিন্তু, রোজ ছাতুর শরবত খেতে তো ভাল লাগে না। ছাতু দিয়ে অন্য ধরনের পুষ্টিকর কী কী খাবার বানানো যেতে পারে?
ছাতুর পরোটা:
দানাশস্য থেকে তৈরি আটার সঙ্গে ছাতু, জিরে গুঁড়ো, চাটমশলা মিশিয়ে জল দিয়ে প্রথমে মণ্ড তৈরি করে নিন। সেখান থেকে লেচি কেটে ময়দার গুঁড়ো ছড়িয়ে বেলে নিন। চাটুতে সেঁকে নিয়ে সামান্য সাদা তেল, মাখন বা ঘি ছড়িয়ে ভেজে নিন। গরম গরম পরোটা পরিবেশন করুন আচারের সঙ্গে।
ছাতুর প্যানকেক:
জল দিয়ে ছাতু গুলে নিন। সামান্য বেকিং পাউডার, একটি পাকা কলা ভাল করে চটকে নিন। মিষ্টি খেতে চাইলে সামান্য একটু গুড় মিশিয়ে নিতে পারেন। এ বার চাটুতে সামান্য তেল দিয়ে সাধারণ প্যানকেকের মতো করে ভেজে নিন। টক দই কিংবা সস্ দিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।
ছাতুর লাড্ডু:
মেদ বেড়ে যাওয়ার ভয়ে মিষ্টি খান না। কিন্তু মাঝেমধ্যে মিষ্টি খাবার বাসনা এমন চেপে বসে যে তাকে কোনও মতেই আটকে রাখা যায় না। তবে, ছাতু দিয়ে স্বাস্থ্যকর মিষ্টি কিন্তু বানিয়ে ফেলা যায়। কী ভাবে বানাবেন? প্রথমে কড়াইতে কাঠবাদাম, কাজুবাদাম, পেস্তাবাদাম, নানা ধরনের বীজ হালকা করে ভেজে নিন। মিক্সিতে অল্প করে গুঁড়ো করে নিন। মিহি গুঁড়ো না হলেও চলবে। জলে ভিজিয়ে রাখা খেজুরগুলোও মিক্সিতে পেস্ট করে রাখুন। এ বার ছাতুর সঙ্গে সমস্ত উপকরণ ভাল করে মিশিয়ে চটকে মেখে নিন। হাতে অল্প ঘি নিয়ে গোল করে পাকিয়ে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে ছাতুর লাড্ডু।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy